বোলিং দল অসহায়। দলটা বাংলাদেশ। ব্যাটিং দল রান উৎসবে। দলটা ভারত। এই সমীকরণেই শেষ হলো ভারতের ইনিংস। রান উৎসব থামলো তাদের ২০ ওভারে ২৯৭ রানে। স্যাঞ্জু স্যামসন সেঞ্চুরি করলেন। সূর্যকুমার করলেন ৭৬ রান। রিয়ান পরাগ ও হার্দিক পান্ডিয়াও বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে যেন খেলা করলেন। ছক্কা-চারের ঝড়ো ভেসে গেল হায়দরাবাদে সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ টি- টোয়েন্টি।
ইচ্ছে হলেই যেন বল গ্যালারিতে পাঠাচ্ছে ভারত। এমন ম্যাচে বাংলাদেশ শুধু অসহায় ভঙ্গিতে চেয়ে দেখল ভারতের রান আনন্দ।
ওপেনার স্যাঞ্জু স্যামসন আগের দুই ম্যাচে স্কোর তেমন বড় করতে পারেননি। সেই দুঃখ ভুললেন সিরিজের শেষ এবং তৃতীয় ম্যাচে। মাত্র ২২ বলে হাফসেঞ্চুরির আনন্দে ভাসলেন এই মারকুটো ব্যাটার। ৮ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় হাফসেঞ্চুরি পান তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের কোনো ব্যাটারের টি- টোয়েন্টিতে এটি দ্রততম হাফসেঞ্চুরি।
একদিনে স্যামসন, অন্যপ্রান্তে সূর্যকুমার। কে কার চেয়ে বেশি শট খেলবেন, কার স্ট্রাইকরেট বেশি থাকবে- যেন সেই প্রতিযোগিতায় মেতে উঠলেন দুজনে। মাত্র ৪৪ বলে এই জুটিতে ১০০ রান যোগ হলো। সূর্যকুমার মাত্র ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরির আনন্দে ভাসেন। মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি পান স্যামসন। টি- টোয়েন্টিতে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এ দুজনে যোগ করেন রেকর্ড ১৭৩ রান। টি- টোয়েন্টিতে যে কোনো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যে কোনো জুটিতে এটি ভারতের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
শুরুর ১০ ওভারে ভারতের স্কোর গিয়ে পৌছাল ১৫২ রানে। তখনই বোঝা যায় এই ম্যাচে আরো অনেক বড় কিছু অপেক্ষা করছে। সেটাই তারা করে দেখাল। টি- টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ ২৯৭ রানের নতুন রেকর্ড গড়ল ভারত। আগেরটা ছিল ৫ উইকেটে ২৬০ রান, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে।
দিল্লিতে আগের ম্যাচে ভারত করেছিল ২২১ রান। হায়দরাবাদে করল ২৯৭। দিল্লিতে জিতেছিল ভারত ৮৬ রানে। হায়দরবাদে আরো বড় জয়ের অপেক্ষায়!