Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ছাত্র হত্যার আসামী সৌদি আরবে, মক্কায় ভারী বৃষ্টিতে বন্যা

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি করে চার শিক্ষার্থীসহ ১২ জনকে খুনের ঘটনার দুই মাস পেরিয়ে গেছে। তবে হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত লক্ষ্মীপুরের এ কে এম সালাহ উদ্দিনসহ অস্ত্রধারী আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। সালাহ উদ্দিন পৌরসভার সাবেক আলোচিত মেয়র প্রয়াত আবু তাহেরের ছেলে ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবে অবস্থান করছেন বলে গণমাধ্যমকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন। তবে কীভাবে তিনি বিদেশে পাড়ি দিলেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে চাননি।

chardike-ad

এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতে সৌদি আরবের পবিত্র শহর মক্কা ও আশপাশের এলাকায় বন্যা পরিস্থতির সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) থেকে ঝড় ও প্রবল বৃষ্টির কারণে মক্কার বেশ কয়েকটি উপত্যকা এবং নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ, মদিনা, আসির, জাজান, আল-বাহা, হাইল এবং তাবুক অঞ্চলও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা ধরা পড়েছে। ফুটেজে দেখা গেছে, মক্কার রাস্তাগুলো ডুবে গেছে এবং বন্যার পানিতে গাড়ির প্রায় অর্ধেক ডুবে যাচ্ছে। সেই ছবির কমেন্ট বক্সে দেশের কিছু তরুণ বলেছে “যে খুনি সেই দেশে গিয়েছে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। সৌদি আরব থেকে খুনিকে ফিরিয়ে দেয়া হোক”। এছাড়া অনেকে ভর্তসনাও করেছে।
৪ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে বাসভবনের ছাদের ওপর থেকে টানা চার ঘণ্টা গুলি চালিয়ে শতাধিক ছাত্র-জনতাকে আহত করেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন, তাঁর গাড়িচালক মো. রাসেল ও সহযোগীরা। এর আগে ২ আগস্ট অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন মো. রাসেল। শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান ও সাব্বির হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি তিনি।

লক্ষ্মীপুর জেলা মানবাধিকার উন্নয়ন ফোরামের আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ বলেন, সালাহ উদ্দিনের পেছনে প্রভাবশালী কেউ আছেন। এ কারণেই তিনি আলোচিত চার শিক্ষার্থী খুনের আসামি হয়েও দুই মাসে ধরা পড়েননি। তাঁর গাড়িচালক মো. রাসেল অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেছেন। তাঁকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে প্রভাবশালীদেরও বার্তা দিতে হবে, অপরাধ করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই।