স্টাফ রিপোর্টার।
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০ অভিবাসী শ্রমিক বাংলাদেশে ফিরে আসছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। এই প্রত্যাবর্তনকারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশই আসছেন সৌদি আরব থেকে।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সবচেয়ে বড় গন্তব্য সৌদি আরবে কাজের পারমিটের আকাশছোঁয়া ফি নির্ধারণের কারণে দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
এই ইকামা ফি’র পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে বছরে ১১০০০ সৌদি রিয়ালে; যা গৃহকর্ম, নির্মাণ বা পরিষ্কারের কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের অনেকের বার্ষিক আয়ের চেয়েও বেশি।
এই ব্যয় বৃদ্ধি ইতিমধ্যে সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যা দুই বছর আগের তুলনায় ২০২৩ সালে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে। রিক্রুটিং এজেন্সি এবং বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ঢাকা এবং রিয়াদের সরকারের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ করা না হলে বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ বাজারটি হারিয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়ে ইকামা ফি পুনর্বিবেচনার জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষকে রাজি করার জন্য তার আন্তর্জাতিক মর্যাদাকে কাজে লাগাতে অনুরোধ করেছেন।
সম্প্রতি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর অফিসে বিদেশী কর্মসংস্থান এবং এর চ্যালেঞ্জগুলির উপর একটি গোলটেবিল বৈঠকে বক্তৃতায় বিশেষজ্ঞ এবং নিয়োগকারী এজেন্টরা এই মন্তব্য করেন।
ব্র্যাক মাইগ্রেশনের ব্যবস্থাপক আল-আমিন নয়ন বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন ঢাকা বিমানবন্দরে ৩৫০-৪০০ ফেরত অভিবাসী শ্রমিকদের পাই। তাদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই সৌদি আরবের, বাকিরা ওমান, মালয়েশিয়া এবং অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে আসা।
ব্র্যাকের এই কর্মকর্তা যিনি ঢাকা বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন, ‘বিদেশ থেকে ফিরে আসার সময় অনেকে খালি হাতে, এমনকি খালি পায়েও আসছেন।’
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, সৌদি আরবে কর্মসংস্থান পরিস্থিতি ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। বায়রার প্রথম সহ-সভাপতি নোমান চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উচ্চ ইকামা ফি এর কারণে, সৌদি বাজার আমাদের জন্য প্রায় বন্ধের পথে। গত দেড় বছর ধরে, আমি সৌদি আরব থেকে কোনো চাহিদা পাইনি। আপনি সেখানে কাজ করছে এমন কোনো রিক্রুটিং এজেন্সিকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন – কেউ স্বস্তিতে নেই।’
এজেন্সিগুলি ইকামা ইস্যু করার জন্য দায়ী নয় দাবি করে তিনি বলেন, ‘সৌদি নিয়োগকর্তারা বড় খরচ দিতে নারাজ। ইকামা ফি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তীব্রভাবে বেড়েছে যা প্রতি মাসে ২০০ রিয়াল থেকে শুরু করে, ৪০০ রিয়ালে পৌছে এবং অবশেষে ২০১৯ সালে ৮০০ রিয়ালে পৌঁছেছে।’
নোমান চৌধুরী আরও জানান, নিয়োগকর্তারা এখন প্রতিটি শ্রমিকের ইকামার জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়কে প্রতি বছর ৮,৬০০ রিয়াল প্রদান করে। এছাড়াও, তাদের অবশ্যই বীমা এবং অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের জন্য অতিরিক্ত ৬০০ রিয়াল দিতে হয়। যার ফলে প্রতি কর্মী প্রতি মোট বার্ষিক খরচ দাঁড়ায় ১১,০০০ রিয়াল। গত দেড় বছরে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বাংলাদেশিসহ ৬০-৭০ ভাগ বিদেশী শ্রমিকদের এখন বৈধ ইকামা নেই।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যদি কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে বাংলাদেশ সৌদি বাজারকে সম্পূর্ণভাবে হারাতে পারে। বেকার হয়ে যেতে পারে হাজার হাজার শ্রমিক।
বরিশালের মহসিন হেলাল নামের একজন কর্মী চলতি বছরের ৬ জুন ক্লিনারের চাকরির জন্য একটি রিক্রুটিং এজেন্সিতে ৪ লাখ টাকা দিয়ে সৌদি আরব চলে যান। তার নিয়োগকর্তা এখনও তাকে বেকার রেখে আকামা প্রদান করেনি।
সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ওই শ্রমিকের স্ত্রী তার কলি জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ (বিএমইটি) ব্যুরোতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন, তাতে অভিযোগে করা হয়, সৌদি আরবে তার খরচ মেটাতে গত চার মাসে কলিকে তার স্বামীর কাছে ৬০ হাজার টাকা পাঠাতে হয়েছে। এখন তারা প্রশাসনের কাছে বিচার চাইছেন।
অন্যান্য শত শত কর্মী একই ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলেও অনেকেই সাহায্যের জন্য বিএমইটি-তে কাছে পৌঁছাতে অক্ষম। কেউ কেউ গ্রামীণ বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে বা এনজিও-র সহায়তায় এই বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করেন।
বিএমইটি কর্মকর্তারা প্রতি মাসে অভিবাসী কর্মীদের কাছ থেকে শত শত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেরন। যেসব অভিযোগের প্রায় ৮০ ভাগই ইকামা এবং সৌদি আরবে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত সমস্যা সম্পর্কিত। গত ছয় মাসে, বিএমইটি’তে ১১৩৩টি অভিযোগ জমা পড়ে, যেখানে ২০২৩ সালে মোট অভিযোগ ছিল ২২০০টি।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত, কর্মসংস্থান ভিসায় সৌদি আরবে প্রবেশকারী কর্মীরা তিন মাসের অস্থায়ী পারমিট পান। নিয়োগকর্তাদের এই সময়ের মধ্যে একটি বৈধ ওয়ার্ক পারমিট নিশ্চিত করতে হয়। ১১ হাজার রিয়াল ইকামা ফি প্রদান করে অ-শিল্প, স্বল্প মজুরি সেক্টর যেমন নির্মাণ, পরিচ্ছন্নতা এবং কৃষিতে শ্রমিকদের জন্য এ পারমিট নিতে হয়। তা ছাড়া শ্রমিকরা অবৈধ হয়ে পড়েন।
বায়রার সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, ‘বর্তমান ইকামা ফি এক দশক আগের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি।’ প্রতিটি উপসাগরীয় রাজ্যে, নিয়োগকর্তারা ইকামা ফি প্রদানের জন্য দায়ী৷ পূর্বে, ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতি কর্মী প্রতি ১২০০-২০০০ রিয়াল ছিল, কিন্তু সৌদি সরকার স্থানীয় নিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য ক্রমাগতভাবে ফি বাড়িয়েছে।
২০১৯ সালে, সৌদি সরকার, কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি অভিযানের অধীনে, সৌদিদের নিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য প্রবাসী কর্মীদের উপর ফি আরোপ করে সৌদি গেজেট রিপোর্ট প্রকাশ করে। কিন্তু এটি কার্যকর হয়নি কারণ তাদের নিজস্ব লোকেরা নিম্ন-স্তরের চাকরি নেয় না। ফলস্বরূপ, নিয়োগকর্তারা বিদেশী শ্রমিকদের নিয়োগের উপায় খুঁজে বের করে, কিন্তু সমস্যায় পড়েন বাংলাদেশী শ্রমিকরা।
শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, ‘নিয়োগকারীরা ইকামা ফি দিতে দেরি করে, আমাদের কর্মীদের অচলাবস্থায় ফেলে দেয়। ফলস্বরূপ, আমাদের কর্মীরা অনথিভুক্ত হয়ে যায়। তারা বাইরে গেলে পুলিশ তাদের আটক করে এবং কারাগারে দেয়। সৌদি আরবের নিয়োগকর্তা এবং কর্তৃপক্ষ মূলত এই পরিস্থিতি থেকে লাভবান হয়।’
ইনফিনিটি এইচসিএম লিমিটেডের চেয়ারম্যান শারমিন আফরোজ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, কেন বাংলাদেশি কর্মীদের অত্যন্ত কম মজুরিতে বিদেশে পাঠানো হয়? প্রশ্ন তোলেন কেন সরকার বা নিয়োগকারী সংস্থাগুলি ভাল বেতনের জন্য আলোচনা করে না?
বিএমইটির প্রাক্তন পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোঃ নুরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি যৌথ কমিটি রয়েছে, যার প্রতি ছয় মাস অন্তর বৈঠক হওয়ার কথা। তবে ছয় বছরেও তা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে বলা উচিত যে আমরা এত কম বেতনের জন্য বিদেশে শ্রমিক পাঠাব না।’
গোলটেবিল বৈঠকে, স্টেকহোল্ডাররা বাংলাদেশী দরিদ্র শ্রমিকদের জন্য ইকামা ফি ছাড় দিতে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি উত্থাপনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষকে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে নিয়োগকর্তাদের জবাবদিহি করতে হবে। যদি নিয়োগকর্তারা ইকামা প্রদান করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা উচিত বা আমাদের কর্মীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ফর রাইটস অব বাংলাদেশি ইমিগ্রেন্টস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুল হক বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমি অভিবাসন খাতে দুর্নীতির তদন্তের জন্য, বিশেষ করে চিহ্নিত করার জন্য একটি কমিশন গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠাতে এত খরচ কেন ‘
বায়রার প্রথম যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ডাটাবেসের মাধ্যমে শ্রমিকদের বিদেশে পাঠাতে হবে।
টিবিএস গোলটেবিল আলোচনায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার এবং সিন্ডিকেটের মতো কাগজপত্র যেমন পাসপোর্ট, ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিটের মতো নথি পেতে অসুবিধা সহ ব্যাকডেটেড প্রশিক্ষণ, অকার্যকর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সহ কম বেতনের চাকরির প্রসারের কারণগুলিও তুলে ধরা হয়। বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাসগুলোর দুর্বল সেবাকেও দায়ী করা হয়।
বিএমইটি’র তথ্যমতে, বাংলাদেশ থেকে বৈদেশিক কর্মসংস্থান এই বছরের সেপ্টেম্বরে বছরে ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যদিও এটি আগের মাসের তুলনায় ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিদেশে পাঠানো হয়েছে ৬৪ হাজার ৬শ’ ৯৭ জন কর্মী। তাদের মধ্যে ৪৪ হাজার ২শ’ ৬৯ জনই সৌদি আরবে গেছেন।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার বন্ধ হওয়ার কারণে সম্প্রতি বৈদেশিক কর্মসংস্থান ক্রমশঃ হ্রাস পাচ্ছে। যদিও এ খাতের নিয়োগকারীরা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার সাথে সাথে পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় সক্রিয় থাকবেন।
করোনা মহামারীর আগে, বাংলাদেশ সাধারণত প্রতি মাসে ৬০ হাজার-৭০ হাজার কর্মী বিদেশে পাঠাত। মহামারীর পরে, ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং মালয়েশিয়ার বাজার পুনরায় খোলার কারণে এই সংখ্যাটি প্রতি মাসে লক্ষাধিকও হয়েছে।
সৌদি আরবে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক রয়েছেন। সেখানে যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যা বাড়লেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রেমিটেন্স কমেছে। গত তিন বছরে প্রায় ১৬ লাখ শ্রমিক সৌদি আরবে গেছেন। বিএমইটির তথ্য অনুসারে, ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে, ২৪ লক্ষ কর্মী বিদেশে কর্মরত ছিলেন, যার অর্ধেক সৌদি আরবে গেছে। এই রেকর্ড কর্মসংস্থানের হার সত্ত্বেও, সৌদি আরব থেকে প্রবাসী আয় ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে।
বিএমইটির তথ্য বলছে, সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ২০২১ সালে ৪ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার, ২০২২ সালে ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন এবং ২০২৩ সালে ৩ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার। সেক্টরের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা বিশ্বাস করেন, সৌদিগামী কর্মীরা ওয়ার্ক পারমিট সম্পর্কিত সংকটের কারণে আশানুরূপ রেমিটেন্স পাঠাতে পারেন না।
ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক আনা সৌদি আরবে একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে, তাই অনেক সৌদি বাংলাদেশিদের সাথে যুক্ত হচ্ছে। শেল কোম্পানি খুলে তারা মাত্র তিন মাসের ইকামা নিয়ে বাংলাদেশিদের নিয়ে যাচ্ছে।’
বায়রার দ্বিতীয় যুগ্ম সম্পাদক আকবর হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ভিসা ক্রয়-বিক্রয় অবৈধ, তবে আমরা এটিকে বৈধ করেছি। যে বেশি টাকা দেয় তাকেই ভিসা দেওয়া হয়। এতে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়েছে এবং সৌদি আরবে শ্রমিক পাঠানোর খরচ বেড়েছে।’
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সিআর আবরার বলেন, ‘এই সিন্ডিকেটের কবল ভাঙতে অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য এটি একটি এসিড টেস্ট। আমরা তাদের বিরুদ্ধে বাস্তব ব্যবস্থা নেওয়ার প্রত্যাশা করি।’
যে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং বেসরকারি খাতের ব্যক্তিরা সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত ছিলেন এবং বিদেশে কর্মীদের সুযোগ রোধে তাদের ভূমিকার জন্য সবাইকে দায়বদ্ধ করা উচিত-উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্র: দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড