Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
Brunei
ফাইল ছবি।

পূর্ব এশিয়ার দেশ ব্রুনাই থেকে সম্প্রতি তিন বাংলাদেশির মরদেহ দেশে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের মরদেহ দেশটির রিপাস হাসপাতালের হিমঘরে দুই বছর ধরে সংরক্ষিত অবস্থায় ছিলো। দীর্ঘদিন চিকিৎসা বিল পরিশোধ না করায় দুজনের মরদেহ বুঝিয়ে দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই ধাপে তিন বাংলাদেশির মরদেহ দেশে ফেরত আনা হয়।

chardike-ad

ব্রুনাইয়ের বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র বলছে, তিন বাংলাদেশির মধ্যে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার বাসিন্দা শিপন এবং নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার বাসিন্দা মোশাররফ হোসেনের মরদেহ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত বরাদ্দের অর্থায়নে গত বুধবার দেশে পাঠানো হয়।

এছাড়া অপর বাংলাদেশি ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার বাসিন্দা সুমন খানের মরদেহ ব্রুনাইয়ের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি সদস্যদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের মাধ্যমে বৃহস্প‌তিবার দেশে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে জানা যায়, শিপন ও মোশাররফের মরদেহ গত ২ বছরের বেশি সময় ধরে রিপাস হাসপাতালের মর্গে সংরক্ষিত ছিল। স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী কোনো কর্মী প্রবাসে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে বা অসুস্থ অথবা আহত হলে যথাযথ ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি কর্তৃক চিকিৎসাসহ প্রয়োজনে মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে এক্ষেত্রে উপরিউক্ত ব্যক্তিদের কেউই মৃত্যুবরণের সময় বৈধভাবে ব্রুনাইয়ে অবস্থান করছিলেন না।

ফলে তাদের মরদেহ দেশে পাঠাতে কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যথাযথভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে শিপন মৃত্যুবরণের আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেখানে  ১৮ হ‌াজার ৪১১ ব্রুনাই ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা) বিল বকেয়া হয়। মরদেহ পাঠানোর আগে এই অর্থ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

পরবর্তীতে হাইকমিশনারের প্রচেষ্টায় ব্রুনাই সরকার ওই অর্থ মওকুফ করে এবং বাংলাদেশ হাই কমিশনের চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত বরাদ্দের অর্থে তাঁর লাশ বাংলাদেশে পাঠানো সম্ভব হয়।

দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা জানান, বাংলাদেশ সরকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে সর্বদায় বদ্ধপরিকর।

হাইকমিশনার তিন বাংলাদেশির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তি‌নি সকল প্রবাসী কর্মী ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়ম অনুযায়ী ইন্স্যুরেন্স ও অনুমোদিত ভিসা নিশ্চিতপূর্বক বৈধভাবে সম্মানের সঙ্গে প্রবাসে অবস্থান করার আহ্বান জানান।