Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। আইপিএলে সবার পছন্দের একটি দল, সবচেয়ে হতাশার একটি দল। সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি লিগের চলতি আসরেও ভিরাট কোহলি হন যে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, সে দলটিই এবার সবার আগে ছিটকে গেল সুপার ফোরের লড়াই থেকে। প্রতিবারই টি-টোয়েন্টিতে সেরা খেলোয়াড়দের নিয়েই দল গড়ে ফ্রাঞ্চাইজিটি। মাঠে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করলেও কাঙ্ক্ষিত জয় আর ভাগ্যে জোটে না কোহলির দলের। এবার তো পারফর্ম করেও দলকে না জেতাতে পেরে ভিরাট মাঠেই অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।

ঠিক কেন প্রতি আসরে ব্যর্থ হচ্ছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ফাফ ডু প্লেসিস, ম্যাক্সওয়েলসহ ইতিহাসের সব নামকরা টি টোয়েন্টি ফেরিওয়ালারা খেলে গেলেও কেন ভরাডুবি এই ফ্রাঞ্চাইজির। মাঠে বা মাঠের বাইরে থাকলেও বা কি শিরোপা জেতার গর্জন হয়?  ইতিহাস বলে ২০০৮-২০২৪ পর্যন্ত ১৭টি আসরে দলটির নেই আহামরি কোনো অর্জন। 

কিছুটা বিশ্লেষণ করলে সবার কাছেই স্পষ্টতা পাবে রয়্যাল পরিবার গঠনে সূক্ষ্ম কিছু ভুল, ব্যাঙ্গালোর ভক্তরা মনেপ্রাণে চায় দলটি একই ভুল যেন ফের পরেরবার না করুক, সকলেই চায় ভিরাট কোহলির হাতে যেন অন্তত একটা শিরোপা উঠুক। প্রথমত ফ্রাঞ্চাইজিটি কখনোই ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়তে পারে না। কখনো বা দলে থাকে বিশ্ব মানের বোলার, কখনো বা মারদাঙ্গা ব্যাটার। বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ের টেবিল টপার কিছু বোলার এবং ব্যাটারদের নিয়ে গড়ে ওঠা একাদশ কখনোই এক আসরে খেলাতে পারেনি দলটি। দ্বিতীয়ত, ফ্রাঞ্চাইজিতে অলরাউন্ডার খেলোয়াড়ের দেখা মেলা ভার। এই আসরেও ক্যামেরুন গ্রিন ছাড়া নেই আর কোনো অলরাউন্ডার। তৃতীয়ত দলটা খুব বিদেশি খেলোয়াড় নির্ভর। অন্যান্য দল যেখানে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দিয়েই জিতে চলছে, সেখানে আরসিবি শিবিরে বিদেশিরা না খেললে সেদিন নিশ্চিত থাকে দলটির হার।

chardike-ad