লাইসেন্স ছাড়া পণ্য উৎপাদন করায় রাজধানীর দুটি প্রতিষ্ঠানকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিএসটিআইয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দিনের শুরুতে রাজধানীর শ্যামপুরের একটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স না নিয়ে মশার কয়েল, সিনথেটিক ডিটারজেন্ট পাউডার এবং লিকুইড টয়লেট ক্লিনার উৎপাদন করায় এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটিশন(বিএসটিআই) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতিমা লিজার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অভিযান পরিচালনা করেন।
বিএসটিআই থেকে জানানো হয়েছে, রাজধানীর কদমতলী এলাকার শ্যামপুরে ১৫৪/১২/ঝ ঠিকানায় অবস্থিত সুলতানা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রতিষ্ঠানটি সিএম লাইসেন্স নবায়ন ছাড়া সিনথেটিক ডিটারজেন্ট পাউডার এবং সিএম লাইসেন্স না নিয়ে মশার কয়েল ও লিকুইড টয়লেট ক্লিনার পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছিল।
এই অপরাধে বিএসটিআই’র ২০১৮ সালের আইন অনুযায়ী ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে মোড়কজাতকরণ নিবন্ধন সনদ না নেওয়ায় ২০১৮ সালের ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন অনুযায়ী ৪০ হাজারসহ সর্বমোট এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে একই এলাকায় অবস্থিত শিবা কনজুমার প্রোডাক্টস সিএম লাইসেন্সের আবেদন করে লাইসেন্স পাওয়ার আগেই মশার কয়েল উৎপাদনে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি সিএম লাইসেন্স পাওয়ার আগে আর কোনো পণ্য উৎপাদন করবে না বলে অঙ্গীকার করে।
মোবাইল কোর্টের প্রসিকিউটর হিসেবে ছিলেন বিএসটিআই’র সিএম বিভাগের ফিল্ড অফিসার মো. খাইরুল ইসলাম। এছাড়াও মেট্রোলজি বিভাগের পরিদর্শক রায়হান হায়দার সম্রাট সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও বিএসটিআইয়ের অপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিন আফরিন মুস্তাফার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আরেকটি দল রাজধানীর সাভারের আশুলিয়ায় একটি খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। সেখানে লাইসেন্স না নিয়ে মোড়কের গায়ে বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করে পণ্য উৎপাদন করার অপরাধে ফরচুন ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ নামের ওই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি ম্যাংগো, লিচি এবং আর্টিফিশিয়াল ফ্লেভার্ড ড্রিংক উৎপাদন করতো।
অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই’র প্রসিকিউটিং কর্মকর্তা এ এন এম ফরহাদ হোসেন, পরিদর্শক সুবহানা নওশীন ও ডিএমপি’র সদস্যরা।