Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বুড়োর দল নিয়েই বরিশালের লঞ্চে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ, বিপিএলের দশম আসরের শিরোপা। মুশফিক কখনো ফাইনাল জেতে না, কুমিল্লা কখনো ফাইনাল হারে না। এবারের ইতিহাস বদলে গেলো মিরপুর শেরে-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবার বিপিএল চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।

chardike-ad

হাইভোল্টেজ ম্যাচের জন্য আগে থেকেই হোম অভ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে উত্তেজনার উত্তাপ। দর্শকরা দুদিন আগে থেকেই টিকিটের জন্য ধরনা দিচ্ছে। ম্যাচের আগের দিন টিকিটের জন্য মানুষের সারি সারি লাইন। অপেক্ষা তো আর ফুরায় না। কিন্ত এরই মাঝে যখন শোনা যায় টিকিট শেষ। মিরপুরে বেঁধে যায় লঙ্কাকাণ্ড। এবারই প্রথম বিপিএল নিয়ে দর্শকের এমন আগ্রহ ছিল সত্যিই দেখবার মতো।

টস জিতে তামিম ইকবাল রীতিমতো বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। যে সিদ্ধান্তটাই হয়তো ম্যাচের ভাগ্য লিখে দেয়। প্রথম ওভারেই কাইল মায়ার্সের বলে সাজঘরে সুনীল নারাইন। সবচেয়ে কম বয়সে প্লেয়ার অভ দ্যা টুর্নামেন্ট খেতাব জেতার বেশ ভালো একটা সুযোগ ছিল তাওহিদ হৃদয়ের সামনে। ফাইনালে ভালো একটা স্কোর করতে পারলেই স্বপ্নটা পূরণ হতো। তবে ধরো খেলতে পারেননি তিনি। মাত্র ১৫ রান করে জেমস ফুলারের বলে নিজের উইকেট দিয়ে ফেরেন। বড় ম্যাচেও দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ প্রথমবার বিপিএলে অধিনায়কের করা লিটন দাস। ফিরলেন ১৬ করে। মিডল অর্ডারে জনসন চার্লস এবং মুঈন আলীও খেলতে পারেনি নিজেদের প্রত্যাশিত খেলাটা। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩৮ করে কোনোরকম সামলে ছিলেন নিজের উইকেট। জাকির
আলীর ২৩ বলে ২০ রানের স্লো ব্যাটিং ভুগিয়েছে দলকে। শেষবেলায় রাসেলের ১৪ বলে ২৭ রানের ক্যামিওতে সম্মানজনক পুঁজি পায় কুমিল্লা। বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫৫।

ফাইনালের মেজাজ বুঝে শুরু থেকেই দুর্দান্ত বোলিং করেছে বরিশালের বোলাররা। সাইফুদ্দিনের ডেথ ওভারে অতিমানবীয় রাসেলও পারেনি ভয়ানক কিছু করতে। জেমস ফুলার ২টি এবং মায়ার্স, সাইফুদ্দিন, ম্যাককয়রা পান ১টি করে উইকেট।

লক্ষ্য বুঝে বলের মাপ মতো ব্যাটিং করেছেন তামিম, মিরাজ। দুর্দান্ত শুরুতে জয়ের ভীত গড়ে দিয়ে গেছন খান সাহেব। ক্যাপ্টেন করেন ২৬ বলে ৩৯ রান। মুঈন আলীর বলে তামিম বোল্ড হলে ভাঙে ৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। তামিমের বিদায়ের পরপরই মিরাজ ফেরেন ২৯ করে। পরের জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। মুশফিক ১৩ করে আউট হলেও, মায়ার্সের ৩০ বলে ৪৬ রান ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। শেষে মাহমুদউল্লাহ এবং ডেভিড মিলারের ব্যাটে ৬ বল বাকি থাকতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বরিশাল।

কুমিল্লার বোলাররা চাপ সামলাতে না পেরে শুরু থেকেই ছিল ছন্নছাড়া। মুস্তাফিজুর এবং মুঈন আলী পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। বাকিরা পারেনি ব্যাটারদের বাগে আনতে।

বরিশালের জয়ো ম্যান অভ দ্যা ফাইনাল হন কাইল মায়ার্স। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম ইকবার, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি শরিফুল ইসলাম এবং ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট হন সেই তামিম ইকবাল।