রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতদের খোঁজখবর নিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেখানে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে গণমাধ্যমকে হতাহতের এ তথ্য জানান তিনি। এছাড়া পুলিশ হাসপাতালে আরেকজনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও ঢামেকে ভর্তি আছেন আরো ২২ জন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মন্ত্রী আরো বলেন, যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাদের বেশির ভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এই ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা বেঁচে আছেন তাদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আহতরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। বাইরে কেউ আছে কি না সেই তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো জানান, ঢামেক ১৪ জন ও বার্ন ইনস্টিটিউটে ৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাইকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আইজিপি বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট নিহত হয়েছেন ৪৪ জন। রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ১ জন, ঢামেক হাসপাতালে ৩৩ জন ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জনের লাশ রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের একটি রেস্তোরাঁয় এ আগুন লাগে। আগুনের এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।
তিনতলায় ছিল কাপড়ের দোকান। বাকি সব ছিল রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টগুলোতে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যে কারণে আগুনের তীব্রতা ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।