দীর্ঘ আড়াইমাস পর বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তবে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে এখনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় তারা।
আশার খবর, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে কিছুটা বরফ গলতে শুরু করেছে কাতারের। বাংলাদেশিদের জন্য নিজেদের বিমানবন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে তারা। এর ফলে বাংলাদেশিরা কাতারের দোহা বিমানবন্দর হয়ে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে যেতে পারবেন। তবে বিমানবন্দরের বাইরে অর্থাৎ অভ্যন্তরে বাংলাদেশিদের যেতে দেয়া হবে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাতার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা ইউরোপগামী বাংলাদেশিদের জন্য উপকারী হলেও সিদ্ধান্তটি যে দেশটির নিজেদের স্বার্থে, তা বোঝা যায়। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা কাতার এয়ারওয়েজ বাংলাদেশ রুটে ফ্লাইট চালাতে আগ্রহী। কারণ বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ-আমেরিকায় যাতায়াত করা ফ্লাইটগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় এই এয়ারওয়েজ।
দোহার এই সিদ্ধান্তের কারণে আগামী বৃহস্পতিবার বা শনিবার থেকেই খুলে যেতে পারে এই রুট। এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, চীন এবং যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশগুলো ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশ বাংলাদেশি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। তাই আমরা চাইলেও সব রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দিতে পারি না। কাতারের সিভিল এভিয়েশনের সাথে কথা হয়েছে। তারা বাংলাদেশিদের সেদেশে ঢুকতে না দিলেও বিমানবন্দর পর্যন্ত নিয়ে অন্যান্য দেশে পৌঁছে দেবে। আমরা দিনভর মিটিং করে যাচ্ছি। আশা করছি এই সপ্তাহে না হলে আগামী সপ্তাহের প্রথমভাগে এই রুটে ফ্লাইট চলাচল চালু করতে পারবো।
এর আগে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে এবং অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় বেবিচক। এরপর আরেকটি আদেশে চীন বাদে সব দেশের সাথে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি সাধারণ ছুটির সাথে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ১৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে, ১৬ মে, ৩০ মে এবং ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। দীর্ঘ ৬৯ দিন বন্ধ থাকার পর গত ১ জুন থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় বেবিচক।
সৌজন্যে- জাগোনিউজ