প্রতিবছর ঈদ আসে সীমাহীন আনন্দ, প্রেম প্রীতি আর কল্যাণের বার্তা নিয়ে, সকল কলুষতাকে ধুয়ে মুছে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে আমরা আবদ্ধ হই প্রীতির বন্ধনে। এবারের দৃশ্যপট সম্পূর্ণ বিপরীত।মহামারি করোনা উলট-পালট করে দিয়ে সব আনন্দ যেন বিষাদে রূপ নিয়েছে।
কোরিয়ার করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেকটা ভালো থাকায় দক্ষিণ কোরিয়াতে আজ রবিবার (মে ২৪) ঈদুর ফিতর উদযাপন হয়েছে। তবে কোরিয় মুসলিম ফেডারেশনের (কেএমএফ) বেশ কিছু শর্তে মসজিদগুলোতে ঈদের নামাজ আদায়ের অনুমতি দিয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধ মসজিদে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার। মসজিদে প্রবেশের পূর্বে ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের জন্য পরিচয় ও মোবাইল নম্বর লিখা। মসজিদে বা ঈদগাহে এক মিটার শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাঁড়ানো। জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পরের হাত মেলানো পরিহার করার জন্যও অনুরোধ জানিয়েছিলো(কেএমএফ)। প্রতিটি মসজিদে কোরিয়ার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল কেন্দ্রিয় মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৯ টা য়। আনসান মসজিদে ঈদের মোট ৮ টি । এছাড়া কোরিয়াতে অন্যান্য মসজিদেও একাদিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ রবিবার সরকারী ছুটি থাকায় সামাজিক দূরত্ব মেনে হাজার হাজার প্রবাসী ঈদের জামাতে অংশ গ্রহণ করেন। কোরিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলেন, আমরা যারা প্রবাসে থাকি, ঈদ আমাদের জন্য এক ভিন্ন অনুভূতি নিয়ে আসে। কারণ, প্রবাসে আমরা অনেকেই পরিবার-পরিজন, প্রিয়তম স্ত্রী, মমতাময়ী মা, প্রিয় বাবা, স্নেহের সন্তান, আদরের ভাইবোন ছাড়া ঈদের দিনটি অতিবাহিত করি। আর তাই ঈদের দিনটা এখানে অনেকটাই আনন্দ-বেদনায় মিশ্রিত একটা দিন। এবারের ঈদের নামাজ শেষে সবাই কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা আর হলো না। এমন ঈদ যেন আমাদের জীবনে আর না আসে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
মোহাম্মদ হানিফ, দক্ষিণ কোরিয়া