Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

amirat-bangladeshiবৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ পর্যন্ত ৩১ প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এ মহামারিতে মৃত্যুর পর শেষবারের মতো দেশে ফেরার সুযোগও হারালেন এসব প্রবাসীরা। পরবাসেই তাদের জানাতে হচ্ছে শেষ বিদায়। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সমাহিত করা হচ্ছে তাদের।

মৌলভীবাজারের মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন প্রায় ১৪ দিন করোনার সঙ্গে লড়াই করে গত রোববার (১০ মে) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে মারা যান। সোমবার (১১ মে) দুবাইয়ের মুহাইছেনা কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়। যদিও কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির নাম-পরিচয় গোপন রাখছে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম।

chardike-ad

মৌলভীবাজারের সেলিম উদ্দিনের মতো আমিরাতে করোনায় মারা যান সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রফিক আলী। ১০ মে রাস আল খাইমায় স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয় করোনায় মৃত চট্টগ্রামের হাটহাজারীর নাঙ্গলমোরা ইউনিয়নের বাদশা মিয়ার মরদেহ। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ধর্মপুর ইউনিয়নের দুই সহোদর শাহ আলম ও বেদারুল ইসলামের মরদেহও দাফন করা হয় স্থানীয় কবরস্থানে।

৩ মে রাস আল খাইমায় দাফন সম্পন্ন হয় চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পৌরসভার দিদারুল ইসলাম বাবুলের। আবুধাবির বানিয়াছ কবরস্থানে দাফন করা হয় চাঁদপুরের ইদ্রিস ভূঁইয়াকে। হিন্দু ধর্মের রীতি অনুযায়ী আল আইন আল ফুয়াতে সৌভন মিত্র নামে একজনের সৎকার করা হয়। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লিটন কান্তি সাহার মরদেহর সৎকারের প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে।

আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিজানুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩১ প্রবাসী বাংলাদেশি মারা গেছেন। তাদের প্রায় প্রত্যেকের মরদেহ সমাহিত করা হয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন কবরস্থানে। এছাড়া দু-একজনের মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি চলছে। সম্প্রতি দূতাবাসকে সরাসরি অবগত করার আগেই কিছু মরদেহের দাফন হয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

করোনায় মারা যাওয়া প্রবাসীর পরিবারকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে মিজানুর রহমান বলেন, পরবাসে করোনায় মারা গেলে নিরাপত্তার বিবেচনায় মরদেহ দেশে পাঠানো যাচ্ছে না। তবে মরদেহ বিদেশে দাফনের সঙ্গে ক্ষতিপূরণের টাকার সম্পর্ক নেই। দূতাবাস থেকে স্থানীয়ভাবে মরদেহ দাফন হয়েছে মর্মে প্রত্যেক পরিবারকে একটি সনদ ইস্যু করে দেয়া হবে। সরকারের ঘোষিত ক্ষতিপূরণ পেতে এটি সহায়ক হবে।