মালয়েশিয়ায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস ও আর্থিক দুরবস্থায় কর্মহীন দিন কাটছে প্রবাসীদের। এর মাঝে দেশটির সরকার ঘোষণা দিয়েছে বৈধ-অবৈধদের বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ পরীক্ষার। আর এতে করেই শংকায় পড়েছেন অবৈধভাবে দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা।
করোনা সংকট উওরণ ও অথনৈতিক পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। ১২ মে পর্যন্ত মুভমেন্ট কন্ট্রোল জারি থাকলেও ইতোমধ্যে রাজধানী কুয়ালালামপুরসহ বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলাতে লকডাউন শিথিল করে শর্ত সাপেক্ষে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে।
তবে কয়েকটি প্রদেশে এখনও মুভমেন্ট কন্ট্রোল জারি রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বৈধ-অবৈধ বিদেশি অভিবাসিরা পড়েছেন বিপাকে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা। দেশটিতে পুরোপুরি কন্ট্রোলে নিয়ে আসার জন্য দেশি-বিদেশি সবার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কোভিড-১৯ পরীক্ষা।
এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, রাজধানী শহরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল বিদেশি অভিবাসীদের। সেখান থেকে বাংলাদেশিসহ ১৪৪ জন পালিয়ে গিয়েছে। এমন অভিযোগ দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হলে এ পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে দেশটির প্রশাসন।
মালয়েশীয় সরকার কোভিড-১৯ পরীক্ষায় অভয় দিয়ে আসলেও এমন আতংকে দিন কাটছে বৈধ-অবৈধ অভিবাসীদের। অনেক প্রবাসী সাহস পাচ্ছেন না কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে। তারা বলছেন, পরীক্ষা করতে গিয়ে যদি পুলিশের হাতে আটক হন। আবার কেউকেউ বলছেন, কোভিড-১৯ যদি পজিটিভ হয়?
স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্রে জানা গেছে, দেশটিতে ৬৩ জন বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো বাংলাদেশি মারা যাননি বলে জনা গেছে।
প্রবাসীদের সমস্যার কোনো শেষ নেই, তার পরেও বর্তমানে যে দুইটি বিষয় এখন সামনে এসেছে তার মধ্যে পাসপোর্ট এবং অনেক প্রবাসী আছেন অসুস্থ হয়ে বাসায় পড়ে আছেন দেশে যাওয়া প্রয়োজন হলেও পারছেন না যেতে। যে সকল প্রবাসী বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় আটকা পড়েছেন ব্যাচ হিসাবে তাদেরকে দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা চলছে। আগামী ১৩ মে থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে বলে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে।
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া