মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫৫২ জন। ফলে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল আট হাজার ৭৯০ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও তিনজন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা হয়েছে ১৭৭।
শনিবার (২ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয় হাজার ১৯৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৮২৭টি। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৬ হাজার ৬৬টি। নতুন যাদের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাদের মধ্যে আরও ৫৫২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজার ৭৯০ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও পাঁচজন। এদের তিনজন পুরুষ, দুজন নারী। পাঁচজনই ঢাকার বাসিন্দা। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৫ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও তিনজন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭৭ জন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় বুলেটিনে।
চার মাস আগে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস ক্রমে গোটা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। চীন পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দিয়ে উঠলেও এখন মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার। তবে ১০ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুও।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। নিয়েছে আরও নানা পদক্ষেপ। যদিও এরই মধ্যে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার কিছু পোশাক কারখানা খুলতে শুরু করেছে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করা না গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে কি-না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।