Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

Airportএকজন যাত্রী হাতব্যাগ, কেবিনব্যাগ এবং ৬৫ কিলোগ্রাম ওজনের বেশি নয় এমন দুটি কার্টুন/ব্যাগ/বস্তা, ৩২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের দুইটি স্যুটকেস বা ট্র্যাংক ইত্যাদি কোনো প্রকার শুল্ক ও কর পরিশোধ ছাড়াই বিমানবন্দর দিয়ে দেশে আনতে পারবে। আর স্থলবন্দর ব্যবহার করা হলে সর্বোচ্চ ৪০০ মার্কিন ডলারের পণ্য আনা যাবে।

উল্লেখিত ব্যাগেজের অতিরিক্ত অনুর্ধ্ব ৩৫ কিলোগ্রাম ওজনের একটি স্যুটকেস, ট্র্যাংক, কার্টুন, ব্যাগ বা বস্তায় পরিধেয় বস্ত্র, ব্যক্তিগত ব্যবহারের সামগ্রী, বই-সাময়িকী এবং পড়াশুনার সামগ্রী কোনো প্রকার শুল্ক ও কর ছাড়াই আমদানি করতে পারবেন।

chardike-ad

বিদেশ থেকে খাদ্যদ্রব্য, পরিধেয় বস্ত্র, গৃহস্থালী বা অন্য কোনো ব্যক্তিগত সামগ্রী দেশে আনার জন্য কিছু নিয়ম নীতি মানতে হয়। দেশে প্রচলিত শুল্ক ও কর আইন অনুযায়ী প্রত্যেকেই এই নিয়মগুলো মেনে চলতে বাধ্য।

শুল্ক বা করবিহীন আমদানি:
১২ বছরের কম বয়সের যাত্রীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪০কিলোগ্রাম ব্যক্তিগত ব্যাগেজের জন্য কোনো প্রকার শুল্ক ও কর পরিশোধ করতে হয় না। পেশাগত কাজে ব্যবহার্য এবং সহজে বহনযোগ্য যন্ত্রপাতিও সকল প্রকার শুল্ক ও কর পরিশোধ ছাড়াই আমদানি করা যাবে।

আকাশ, জলপথ বা স্থলপথে দেশে আসা যে কোনো অসুস্থ, পঙ্গু অথবা বৃদ্ধ যাত্রীর ক্ষেত্রে তার ব্যবহার্য চিকিৎসার যন্ত্রপাতি ও হুইল চেয়ার তার সাথে থাকবে। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে না।

কোন বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে মৃত্যুবরণ করলে তার ব্যাগেজ দেশে আনার জন্য কোনো প্রকার শুল্ক ও কর দিতে হবে না। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ অথবা রুপার অলংকার বহন করতে পারবেন। এগুলো তার ব্যক্তিগত ব্যবহারের অলংকার বলে ধরে নেওয়া হবে। তবে এক ধরণের অলংকার ১২টির বেশি রাখতে পারবেন না। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার শুল্ক ও কর পরিশোধ পরিশোধ করতে হবে না।

স্বর্ণের বার আমদানির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম পর্যন্ত বহন করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণে শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। বিদেশি পাসপোর্টধারী কোনো যাত্রী দুই বোতল অথবা ১ লিটার পর্যন্ত মদ বা মদ্য জাতীয় পানীয় যেমন-স্প্রিট, বিয়ার, ইত্যাদি বহন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাকে কোনো প্রকার শুল্ক ও কর পরিশোধ করতে হবে না। ক্রু, নাবিক এবং বাংলাদেশি এয়ার লাইন্সে কর্তব্যরত কোন বাংলাদেশি তার পেশাগত দায়িত্বের কারণে বিদেশ থেকে ব্যাগেজ আনতে বিশেষ সুবিধা পাবেন। নির্দিষ্ট কিছু বস্তুর ক্ষেত্রে শুল্ক বা কর দিতে হয় না তাদের।

বিমানবন্দরে করণীয়:
কোন যাত্রী শুল্ক ও কর আরোপযোগ্য পণ্য বহন না করলে তিনি বিমানবন্দরের গ্রিন ও রেড চ্যানেল (যদি থাকে) ব্যবহার করতে পারবেন। গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমকারী সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ যাত্রীর ব্যাগেজ দৈবচয়নের ভিত্তিতে স্ক্যানিং ও পরীক্ষা করার অধিকার রাখেন শুল্ক কর্মকর্তারা। তবে যে কোনো শুল্ক কর্মকর্তা, যুক্তিসংগত বা সন্দেহবশত হয়ে গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমকারী যে কোন যাত্রীর ব্যাগেজ স্ক্যানিং ও পরীক্ষা করতে পারবেন।

বিনাশুল্কে যেসব ব্যাগেজ আনা যায় তার অতিরিক্ত বা ভিন্ন কোনো পণ্য আমদানি করলে প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের (সিসিআইঅ্যান্ডই) ছাড়পত্র দেখিয়ে, সব শুল্ক-কর, অর্থদণ্ড ও জরিমানা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পরিশোধের পর ব্যাগেজ আনতে পারবেন। কোনো যাত্রীর কাছে ৫ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ অর্থের বেশি অন্য যে কোনো দেশের বৈদেশিক মুদ্রা থাকলে তা ব্যাগেজ ঘোষণা ফরমে উল্লেখ করতে হবে। সঙ্গে আনা হয়নি এমন কোনো স্যুটকেস, ব্যাগ, কার্টুন বা ট্র্যাংক থাকলে তাও ঘোষণা ফরমে উল্লেখ করতে হবে।

যেসব পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ও কর দিতে হবে:
ব্যক্তিগত ও গৃহাস্থলির কাজে ব্যবহৃত হয়না এমন পণ্য, দুইটির বেশি স্যুটকেস (তৃতীয় স্যুটকেসে পরিধেয় বস্ত্র, ব্যক্তিগত ব্যবহার্য সামগ্রী, বই-সাময়িকী এবং পড়াশুনার সামগ্রী থাকলে শুল্ক ও কর দিতে হবে না) এবং আমদানিকৃত যে কোনো বাণিজ্যিক পণ্যের ক্ষেত্রে নিয়মমাফিক শুল্ক ও কর প্রদান করতে হবে।
ব্যক্তিগত ও গৃহাস্থলির কাজে ব্যবহৃত এমন কিছু পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে অবশ্যই শুল্ক ও কর প্রদান করতে হয়। যেমন-প্লাজমা, এলসিডি, টিএফটি, এলইডি এবং যে কোনো উন্নত প্রযুক্তির টেলিভিশন।

মিউজিক সেন্টার, হোম থিয়েটার সিস্টেম, সিডি/ভিসিডি/ডিভিডি/এলডি/এমডি/ব্লু রেডিস্ক সেট, রেফ্রিজারেটর বা ডিপ ফ্রিজার, এয়ার কুলার, এয়ার কন্ডিশনার, ডিশ এন্টেনা, এইচডি ক্যাম, ডিভি ক্যাম, বিইটিপি ক্যাম ও পেশাদারী ব্যবহার উপযোগী কোনো ক্যামেরা, এয়ারগান, এয়ার রাইফেল, ঝাড়বাতি, কার্পেট (১৫ বর্গমিটার পর্যন্ত), ডিশ ওয়াশার, ওয়াশিং মেশিন, ক্লথ ড্রাইয়ার ইত্যাদির ক্ষেত্রেও সরকার নির্ধারিত শুল্ক ও কর প্রদান করতে হবে।

স্বর্ণ বা রুপার বার সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম আমদানি করা যাবে। স্বর্ণ প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রাম ১৫০ টাকা এবং রুপার ক্ষেত্রে প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রাম ৬টাকা হারে সরকারকে শুল্ক ও করা হবে।

বিভিন্ন সরঞ্জামের শুল্ক ও করের পরিমাণ:

১. প্লাজমা, এলসিডি, টিএফটি, এলইডি ও অনুরূপ প্রযুক্তির টেলিভিশন/ মনিটর
ক. ২২”-২৯” ১৫,০০০.০০টাকা
খ. ৩০”-৩৬” ২০,০০০.০০টাকা
গ. ৩৭”-৪২” ৩০,০০০.০০টাকা
ঘ. ৪৩”-৪৬” ৫০,০০০.০০টাকা
ঙ. ৪৭”-৫২” ৭০,০০০.০০টাকা
চ. ৫৩”এর বেশি ১,০০,০০০.০০ টাকা

২. চার থেকে আটটি স্পিকারসহ (মিউজিক সেন্টার)/ স্পিকার নির্বিশেষে হোম থিয়েটার (সিডি/ ভিসিডি/ ডিভিডি/ এলডি/এমডি/বু রেডিস্ক সেট) ৮,০০০.০০টাকা
৩. রেফ্রিজারেটর/ডিপ ফ্রিজার ৫,০০০.০০টাকা

৪. এয়ার কুলার/এয়ার কন্ডিশনার:
ক. উইনডো টাইপ ৭,০০০.০০টাকা
খ. স্প্লিট টাইপ (১৮ হাজার বিটিইউ পর্যন্ত) ১৫,০০০.০০টাকা
গ. স্প্লিট টাইপ (১৮ হাজার বিটিইউ এর বেশি) ২০,০০০.০০টাকা

৫. ডিশ এন্টেনা ৭,০০০.০০টাকা
৬. এইচডি/ডিভি/বেটা বা পেশাদারি ক্যামেরা ১৫,০০০.০০টাকা
৭. এয়ারগান/এয়ার রাইফেল (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে আমদানিযোগ্য, আমদানি নীতি আদেশ ২০০৯-২০১২ অনুযায়ী) ৫,০০০.০০টাকা
৮. ঝাড়বাতি (প্রতি পয়েন্ট) ৩০০.০০টাকা
৯. কার্পেট ১৫ বর্গমিটার (প্রতি বর্গমিটার) ৩০০.০০টাকা
১০. ডিশ ওয়াশার/ওয়াশিং মেশিন/ক্লথ ড্রাইয়ার ৩,০০০.০০টাকা

যেসব ইলেকট্রনিকস পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ও কর দিতে হবে না:
সর্বোচ্চ ২১” পর্যন্ত সাধারণ টেলিভিশন, ক্যাসেট প্লেয়ার, টু-ইন-ওয়ান, ডিস্কম্যান, ওয়াকম্যান (অডিও), বহনযোগ্য অডিও সিডি পেয়ার, ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার (একটি ইউপিএস সহ), স্ক্যানার, প্রিন্টার, ফ্যাক্স মেশিন, সাধারণ ভিডিও ক্যামেরা, স্টিল ক্যামেরা, ডিজিটাল ক্যামেরা, সাধারণ সিডি ও দুইটি স্পিকারসহ কম্পোনেন্ট মিউজিক সেন্টার, সিডি/ভিসিডি/ডিভিডি/এলডি/এমডি সেট, চারটি স্পিকারসহ কম্পোনেন্ট মিউজিক সেন্টার, সিডি/ভিসিডি/ডিভিডি/এলডি/এমডি, ব্লু-রেডিস্ক প্লেয়ার, এলসিডি কম্পিউটার মনিটর ১৯” পর্যন্ত, একটি মোবাইল বা সেলুলার ফোন সেট, সাধারণ পুশবাটন, কর্ডলেস টেলিফোন সেট, ইলেকট্রিক ওভেন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, গ্যাস ওভেন (বার্নার সহ), টোস্টার, স্যান্ডউইচ মেকার, ব্লেন্ডার, ফুড প্রসেসর, জুসার, কফি মেকার, বৈদ্যুতিক টাইপরাইটার, গৃহস্থালী সেলাই মেশিন (ম্যানুয়াল ও বৈদ্যুতিক), টেবিল ও প্যাডেস্টাল ফ্যান, গৃহস্থালী সিলিং ফ্যান, ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য স্পোর্টস সরঞ্জাম, ১ কার্টন (২০০ শলাকা) সিগারেট ইত্যাদি বহন করার ক্ষেত্রে কোনো শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হয় না।

সূত্রঃ অর্থসূচক