করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আগামী ৭ মে পর্যন্ত দেশের বিমানবন্দরগুলোতে (চীন বাদে) সব ধরনের শিডিউল ফ্লাইট ওঠানামা আগেই বাতিল করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এই নিষেধাজ্ঞা শেষেও ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারছে না বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আর্থিকসহ নানা সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠানটি ১৫ মে পর্যন্ত সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাক্যের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানায়, ‘সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আগামী ১৫ মে পর্যন্ত সব ধরনের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করল।’ তবে এ সময়ে ফ্লাইট থাকা যাত্রীদের কী হবে, কিংবা আগে বাতিল হওয়া ফ্লাইটের যাত্রীদের করণীয় বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
দেশে বিমান চলাচলে বেবিচকের নিষেধাজ্ঞা জারি করার আগেই ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ফ্লাইট বাতিল করেছিল বিমান।
দেশের অভ্যন্তরে বাংলাদেশ বিমান ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, রাজশাহী, যশোর, সৈয়দপুর, বরিশাল রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে। এছাড়া লন্ডন, ম্যানচেস্টার, নেপাল, ব্যাংকক, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কলকাতা, দিল্লি, জেদ্দা, মদিনা, দাম্মাম, রিয়াদ, আবুধাবি, দোহা, কুয়েত, মাস্কাট ও দুবাইসহ ১৭টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে বাংলাদেশ বিমান।
দেশের বিমানবন্দরগুলো দিয়ে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের বিমান চলাচলে ৭ মে পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে চীনের ফ্লাইটগুলো এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। তবে চীনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কোনো ফ্লাইট নেই।