সিউল, ২৪ মে ২০১৪:
২০০২ বিশ্বকাপে খেলোয়াড় হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার সেই অবিস্মরণীয় স্বপ্নযাত্রার সঙ্গী ছিলেন। এবার কোচ হিসেবে দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন ব্রাজিল বিশ্বকাপে। ওয়ার্ল্ড সকারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হোংমিয়ংবো শোনালেন কোরিয়ার এবারের প্রস্তুতির গল্প
ব্রাজিল বিশ্বকাপের জন্য আপনাদের প্রস্তুতি কেমন চলছে?
হোংমিয়ংবো: ভালোই হচ্ছে। আরও প্রস্তুতি এখনো নিতে হবে আমাদের। আমরা অনেক পরিশ্রম করছি, সেটা থেকে অনেকটা আত্মবিশ্বাস আমাদের সঙ্গী হবে । বিশ্বকাপে আমরা যত দূর সম্ভব যেতে চাই। সে জন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বিশ্বকাপে আমার নিজের কি কোনো ব্যক্তিগত লক্ষ্য আছে? আছে, তবে সেটা বলার মতো সময় এখনো আসেনি। আমরা একটু একটু করে এগোতে চাই।
গ্রুপের ড্রটা কেমন দেখছেন?
হোংমিয়ংবো: গ্রুপের তিনটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, কঠিনও বটে। কিন্তু আমার মনে হয় রাশিয়ার সঙ্গে প্রথম ম্যাচটাই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেখান থেকে পাওয়া ফল আলজেরিয়া ও বেলজিয়ামের সঙ্গে পরের দুই ম্যাচে বড় একটা প্রভাব ফেলবে। এই ম্যাচটা আসলে গ্রুপে আমাদের গতিপথ ঠিক করে দেবে।
এখনকার দক্ষিণ কোরিয়া দলের অবস্থা আসলে কী?
হোংমিয়ংবো: আমার কাছে আত্মবিশ্বাসটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত নিরিখে শুধু নয়, দল হিসেবেও। আমাদের ভয় পেলে চলবে না। বাকি যে সময়টুকু আছে সেটা আমাদের বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে। তরুণ খেলোয়াড়েরা যাতে নিজেদের ক্ষমতার ওপর আস্থা রাখতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সময়ে কোরিয়ান ফুটবল দেখিয়েছে তারা অনেক কিছু অর্জন করতে পারে। ভয় পাওয়ার আসলেই কিছু নেই।
বিশ্বকাপে আপনার ফেবারিট কারা?
হোংমিয়ংবো : আমার মনে হয় ব্রাজিলই জিতবে। ইউরোপ বিশ্ব ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র হতে পারে, কিন্তু একটা দীর্ঘ মৌসুমের পর তাদের খেলোয়াড়েরা ক্লান্ত থাকবে। আমাদের যেসব খেলোয়াড় ইউরোপে খেলে তাদের জন্যও কথাটা খাটে। দক্ষিণ আমেরিকায় খেলাটা আমাদের জন্য নতুন একটা অভিজ্ঞতা। সে কারণেই জানুয়ারিতে আমরা কয়েক দিনের অনুশীলন ক্যাম্প করেছিলাম। এটা আমাদের প্রত্যাশারও একটা ধারণা দিয়েছে।
ফুটবলের বাইরে নিস্তরঙ্গ একটা জীবন কি কখনো চেয়েছিলেন?
হোংমিয়ংবো : ফুটবলই আমার জীবন। আমি দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় দলের কোচ। দেশটির ফুটবলের প্রতিনিধিও। এটা অন্য রকম এক সম্মান। মাঝেমধ্যে সাদামাটা একটা জীবনের জন্য আমার আফসোস হয়। জাতীয় দলের কোচ হওয়ার আগে আমি একজন বাবা ও একজন স্বামী ছিলাম। আমি পরিবারের প্রধান, কিন্তু অনেক সময়ই সেই ভূমিকাটা আমি পালন করতে পারি না। সুত্রঃ প্রথম আলো।