Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

selimমধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানে বাংলাদেশি সাংবাদিক সেলিম আকাশকে আটক করেছে দেশটির গোয়েন্দা পুলিশ। সাংবাদিক সেলিম আকাশ অনলাইন পোর্টাল জাগো নিউজ, দৈনিক আমাদের সময়, আকাশ যাত্রাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে জর্ডান প্রতিনিধি হিসেবে প্রবাসীদের তথ্যগুলো প্রকাশ করতো।

গত সোমবার (১৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুরে সেলিমকে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে জর্ডানের গোয়েন্দা পুলিশ। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রবাসীদের খাদ্য সংকটসহ নানা সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন করার কারণে বাংলাদেশ দূতাবাসের ‘বিশেষ পর্যায়ের’ ইন্ধনে সেলিমকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার পরিবার ও সহকর্মীদের।

chardike-ad

জর্ডানে স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ বসবাস করে আসছেন সেলিম আকাশ। তার স্ত্রী জোনা আকাশ জর্ডান থেকে জানান, আকাশের বিরুদ্ধে বুধবার (১৫ এপ্রিল) পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করে আদালতে হাজির করে।

সেলিম আকাশের সহকর্মী ও স্বজনরা জানান, মূলত দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ইন্ধনের পরিপ্রেক্ষিতেই সাংবাদিক সেলিম আকাশকে আটক করে নিয়ে গেছে দেশটির পুলিশ।

jordan-selimতবে এ বিষয়ে জর্ডানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান কাছে দাবি করেন, সেলিম আকাশ আটক হওয়ার বিষয়টি জানার পর এ বিষয়ে দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো উত্তর আসেনি। তিনি দাবি করেন, দূতাবাসের পক্ষ থেকে এই প্রবাসী সাংবাদিকের নামে কোনো অভিযোগ দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে করা হয়নি।

নাহিদা সোবহান বলেন, আমরা এখনো জানি না তাকে কেন আটক করা হয়েছে। সেটা জানার চেষ্টা চলছে। বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে জর্ডানে লকডাউন চলছে। এর মধ্যেও আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছি তার বিষয়ে খোঁজ নেয়ার।

করোনাভাইরাসের মতো পরিস্থিতিতে তাকে ধরিয়ে দেয়ায় দূতাবাসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেলিমের সহকর্মী ও প্রবাসী অন্যান্য সাংবাদিকরা। তারা বলেছেন, ভোগান্তি নিয়ে প্রতিবেদন করার কারণে এভাবে সংবাদকর্মীকে গ্রেফতারে পুলিশকে উসকানি দিয়ে সংশ্লিষ্টরা নিজেদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন প্রবাসীদের সামনে। প্রবাসী সাংবাদিকরা অবিলম্বে সেলিম আকাশের মুক্তির জন্য দূতাবাসকে আন্তরিকভাবে তৎপর হওয়ার দাবিও জানান।