সিলেটে পবিত্র শবে বরাতের রাতে ফাহিম আহমদ (২৪) নামে এক কাতার প্রবাসী যুবক বন্ধুদের হাতে খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরের টুকের বাজারের হায়দরপুর গ্রামে তাকে কুপিয়ে আহত করে মোহাম্মদ ফাহিমসহ আরও কয়েকজন। রাত ১১টার দিকে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রেম সংক্রান্ত বিরোধে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশের ধারণা- পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত ফাহিম আহমদ হায়দরপুর গ্রামের আব্দুল মানিকের ছেলে। তিনি গত ডিসেম্বর মাসে কাতার থেকে দেশে ফেরেন। করোনাভাইরাসের কারণে তিনি দেশে এসে আটকা পড়েন।
টুকেরবাজার ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এনামুল হোসেন এনাম জানান, দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন ফাহিম। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে তার মা-বাবা এখন প্রায় পাগল। তবে তিনি ফাহিম হত্যার কারণ বলতে পারেননি।
ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় ফাহিম আহমদকে উদ্ধারকারী প্রতিবেশী খালেদ নামে এক যুবক বলেন, গ্রামের মোহাম্মদ ফাহিমসহ আরও কয়েকজন বন্ধু তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে। আমরা চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হায়দরপুর গ্রামে বাড়ির পাশে নদীর পাড়ে ফাহিমকে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
সিলেট মহামগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাতার প্রবাসী এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জালালাবাদ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অকিল উদ্দিন বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।