কাতারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক বাংলাদেশির মৃত্যুর খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন প্রবাসীরা। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এটিই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা বিধায় উৎকণ্ঠিত স্থানীয়রাও। সচেতন প্রবাসী বাংলাদেশিরা অবশ্য বলছেন, আতঙ্কিত না হয়ে স্থানীয় সরকারের বিধি-বিধান মেনে চলাই এখন সবচেয়ে জরুরি।
শনিবার (২৮ মার্চ) রাতে ৫৭ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি মারা যান। তার মৃত্যুর খবর কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়তেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা লক্ষ্য করা যায়। তবে অনেক প্রবাসী নেতা এক্ষেত্রে সচেতনতা ও স্থানীয় বিধি-নিষেধ মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কমিউনিটি নেতা দিদারুল আলম আরজু বলেন, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রবাসীদের সচেতন হওয়া দরকার। পাশাপাশি তারা যেন বাইরে ঘোরাঘুরি না করেন। কাতারে এ পর্যন্ত ১৭ হাজারের মতো মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, এর মধ্যে ৫৯০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের অন্তত ৪৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
কাতারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যিনি প্রথম প্রাণ হারিয়েছেন, সেই ব্যক্তির বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়। তিনি কাতারে ব্যবসা করতেন। গত ১৬ মার্চ তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, কাতারে যেসব মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে তার বেশিরভাগ হলেন- অভিবাসী শ্রমিক। কাতার সরকার দেশটির বৃহত্তম একটি শিল্প এলাকা লকডাউন (অবরুদ্ধ বা বন্ধ) করে রেখেছে; যেখানে অনেক মানুষের বসবাস ছাড়াও কারখানা রয়েছে।