Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

corona-tourকরোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। অর্থাৎ ২৬ মার্চের ছুটি থেকে শুরু হয়ে সাপ্তাহিক নিয়মিত ও সাধারণ ছুটি মিলিয়ে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের অফিস বন্ধ থাকবে। লম্বা ছুটি ঘোষণার পর দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে উপচেপড়া ভিড় লেগেছে ঘরমুখী মানুষের।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ছিল ঘরমুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড়। দেখে মনে হয়েছে ঈদের ছুটিতে ঘরে ফিরছে মানুষ। যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়েছে যে যেখানে আছেন; সেখানেই থাকেন। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়ার দরকার নেই। এ অবস্থায় শিমুলিয়া ঘাটের জনস্রোত করোনা প্রতিরোধে সচেতনতাকে ম্লান করে দিল।

chardike-ad

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। কেউ কেউ এই জনস্রোতকে করোনা নিয়ে বাড়ি যাওয়ার মতো অবস্থা বলেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন পরিবারে করোনা ছড়াতে ঢাকা ছেড়েছেন এসব মানুষ।

train-tourশিমুলিয়া ঘাট সূত্র জানায়, সোমবার রাত থেকেই বাড়ির পথে ছুটছে মানুষ। মঙ্গলবার সকাল থেকে লেগে যায় জনস্রোত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনস্রোত দ্বিগুণ হয়ে যায়। কোনো ফেরিতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। যেন ঈদের উৎসবে বাড়ি ফিরছেন সবাই। এদের অনেকেরই মুখে ছিল না মাস্ক। করোনা আতঙ্ক কিংবা সচেতনতা এদের কারও মধ্যেই ছিল না। একজন আরেকজন থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরার পরামর্শ দেয়া হলেও জড়াজড়ি করে বাড়ি ফিরেছেন তারা। একজনের সঙ্গে মিশে গেছে আরেকজনের শরীর। এ অবস্থায় করোনা সংক্রমণ যে আরও বিস্তৃত হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। করোনা নিয়ে আশঙ্কাটা আরও বাড়িয়ে দিল শিমুলিয়া ঘাটের উপচেপড়া ভিড়।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মোমেন বলেন, লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার আগেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের চাপ দেখে ফেরি দিয়ে যতটুকু নিরাপদে রেখে তাদের পার করা সম্ভব তাই করেছি। কারণ এসব ঘরমুখী যাত্রী ঘাটে জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব অনেককেই বুঝিয়ে ফেরত পাঠিয়েছি। যারা আমাদের কথা শোনেনি তারা বিভিন্নভাবে গন্তব্যে গেছে। যদি ঢাকা থেকে আসা বন্ধ করা যেত তাহলে যাত্রীদের এত চাপের সৃষ্টি হত না। এদের মাঝে করোনা আতঙ্ক নেই; হুমড়ি খেয়ে পড়েছে বাড়ি যাওয়ার জন্য।

আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি আন্তঃনগর এবং লোকাল ট্রেনে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সবাই গ্রামে যাচ্ছে। দেখে মনে হয় ঈদ লেগেছে। অথচ, এইসব লক্ষ মানুষের মাঝে করোনা আক্রান্ত যারা আছেন, তারা তো ট্রেনের প্রতিটি যাত্রীর মাঝে ভাইরাস ছড়িয়ে দিলেন! সবাই গ্রামে গিয়ে ঘুরেফিরে বেড়াবে। তাদের থেকে প্রথমে পরিবার এবং পরে প্রতিবেশীরা আক্রান্ত হবে করোনায়। করোনা মোকাবেলায় ২ মাস সময় পেয়েছে বাংলাদেশ। সবাই জেনে গেছে, এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে কী করতে হবে। কিন্তু সিংহভাগ মানুষই তা মানছে না!