করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ইতালি সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরও মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শুক্রবার (১৩ মার্চ) একদিনেই দেশটিতে ২৫০ জন মারা গেছে। এ দিন নতুন আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৫৪৭ জন। এ নিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ২৬৬ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত ১৭ হাজার ৬৬০
এবং চিকিৎসাধীন আছে ১৪ হাজার ৯৫৫ জন।
ইউরোপের দেশটির অবস্থা দিনদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ দিকে করোনাভাইরাসের কারণে ইতালিতে প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন। জরুরি অবস্থায় বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। গোটা ইতালি থমকে আছে। অর্থনৈতিক চরম ক্ষতির দিকে। নতুন করে কোনো পর্যটক ইতালিতে প্রবেশ করতে পারছে না। সরকার নির্দেশনা, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে কেউ যেন না যায়।
করোনারভাইরাসে রোমের ক্লোসিয়াম, ফোনতানা ত্রেভি, ভেনেসিয়াসহ দর্শনীয় স্থানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গোটা ইতালির জনগণ এখন বন্দি জীবনযাপন করছে। সুপার মার্কেটগুলোতে একসঙ্গে সবাইকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলছে সরকার ঘোষিত প্রতিষ্ঠান। কিছু কিছু সুপার মার্কেট ও ক্লিনিকে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে, ইতালিজুড়ে মাস্কের খুবই অভাব দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে কয়েকটি ফার্মেসিতে মাস্ক পাওয়া যায়নি।
বিক্রেতারা বলছেন, আগামী সপ্তাহে আসতে পারে নতুন মাস্ক। তবে নিশ্চয়তা দিতে পারেনি কেউ। জরুরি অবস্থায় যানবাহনও আগের মত চলাচল করছে না। এর ফলে বেড়েছে যাত্রীদের দুর্ভোগ। ইতালি সরকার গুইসেপ কন্তে করোনার মহামারি সামাল দিতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা একের পর অব্যাহত রেখেছেন।
এ দিকে দেশটিতে ৩ বাংলাদেশি আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। তিনজনই উত্তর ইতালিতে থাকেন। বর্তমান তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। জানা যায়, তিনজনের মধ্যে একজনের বাড়ি মাদারীপুর, আরেকজনের মানিকগঞ্জে এবং অন্যজন কুমিল্লার।
করোনার থাবায় গোটা ইতালি এখন ফাঁকা। সরকার নতুন ডিক্রি করে সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা নেই। বিভিন্ন স্থানে প্রশাসন রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করছে। যানবাহন এবং চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ আনতে নিরাপত্তা জোরদার রাখা হয়েছে।