দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় সাবেক স্ত্রীর অশ্লীল ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করায় আব্দুল্লাহ আল হাসান (২৬) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি নবাবগঞ্জ উপজেলার বয়রা গ্রামের মো. মামুনুর রশিদের ছেলে। রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার ঘোড়াঘাট রেলগুমটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১২ জুলাই জেলার হাকিমপুর উপজেলার মুখুরিয়া গ্রামের এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে জয়পুরহাট নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে গিয়ে বিয়ে করেন আব্দুল্লাহ আল হাসান। বিয়ের কিছুদিন পর ২০১৩ সালে তিনি চীনে চলে যান। এরপর মাঝে মধ্যে দেশে এসে শ্বশুর বাড়ি যাওয়া-আসা করতেন তিনি। চীনে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার সময় বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল ভিডিও দৃশ্য স্ক্রিনশট করে রাখতেন স্বামী আব্দুল্লাহ আল হাসান। দেশে আসার পর স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন তিনি। এতে ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট তার স্ত্রী তাকে তালাক দেন।
সোমবার দুপুরে মুঠোফোনে ওই যুবকের শ্বশুর বলেন, আমার মেয়ে তার স্বামীকে তালাক দেয়ার পর বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে আব্দুল্লাহ আল হাসান। গত ২০ ফেব্রুয়ারি হাসান তার মোবাইলে রাখা অশ্লীল ছবিগুলো বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে আমার মেয়ের, আমার জামাতা, মেয়ের বন্ধু-বান্ধবসহ আত্মীয়স্বজনের ম্যাসেঞ্জারে পাঠায় এবং বাকি ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় বিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, রোববার (৮ মার্চ) রাতে মেয়ের বাবা বিরামপুর থানায় আব্দুল্লাহ আল হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। ওই রাতেই বিরামপুরের ঘোড়াঘাট রেলগুমটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল্লাহ আল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দুপুরে কোর্টে চালান দিলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠান।