করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে এই ভাইরাসে মোট চারজন প্রাণ হারিয়েছে। অপরদিকে, আরও ১২৩ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫৬ জনে।
সম্প্রতি দক্ষিণাঞ্চলীয় চিওংডো শহরের একটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তি মারা গেছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই শিনচিওঞ্জি সম্প্রদায়ের। সে কারণে এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর নয় হাজারেরও বেশি সদস্যকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এই সম্প্রদায়ে ৬১ বছর বয়সী এক নারী প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়। এরপর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ওই নারী জ্বরে আক্রান্ত হন। দক্ষিণ কোরিয়ার দেগু এবং চোংডো শহর থেকেই এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর চীনের বাইরে আরও অনেক দেশেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৬২ জন। এর মধ্যে শুধু চীনের মূল ভূখণ্ডেই মারা গেছেন ২ হাজার ৪৪২ জন। বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজার ৭২৪ জন।
শনিবার এ ভাইরাসে হুবেই প্রদেশেই একদিনে মৃত্যু হয়েছে আরও ৯৬ জনের। সবমিলিয়ে হুবেই প্রদেশে করোনায় ২ হাজার ৩৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চীনের বাইরে ইরানে ৫ জন, জাপানে ৩ জন এবং হংকং, ইতালিতে দু’জন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও ফ্রান্সে একজন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে।