সৌদি আরবে কাফালা (কোনো একজন ব্যক্তির অধীনে বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ দেয়া হয়, যাকে কাফালা পদ্ধতি বলে) পদ্ধতি বাতিল হচ্ছে শিগগিরই। সৌদি গেজেট পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পদ্ধতি বাতিল হলে প্রবাসী শ্রমিকরা নিজের ইচ্ছানুযায়ী দেশে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। কর্মসংস্থান চুক্তিতে যা নির্ধারিত রয়েছে, সে অনুযায়ী প্রবাসীদের চলাচলের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। আবাসিক ভিসা ও স্বজনদের ভিজিট ভিসার অধিকার এবং এভাবে আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন প্রবাসীরা।
কিংডম ভিশন-২০৩০ চালু হওয়ার পর সৌদি আরবে একাধিক অর্থনৈতিক সংস্কারের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এই পরিকল্পনার আওতায় কাফালা ব্যবস্থা বাতিলকরণ অন্যতম। শূরা কাউন্সিল এবং মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক প্রয়োজনীয় অনুমোদনের পরে গত মে মাস থেকে প্রিমিয়ার রেসিডেন্সির প্রবর্তনের পরবর্তী ধাপ হিসেবে সৌদিতে কাফিল চূড়ান্ত বিলুপ্তি পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আসে।
কাফিল সিস্টেম, যা সৌদি আরবে সাত দশক ধরে কার্যকর রয়েছে। এতে প্রবাসী শ্রমিকরা নিয়োগকর্তার মধ্যে অনুমতি ছাড়া স্বাধীনভাবে কোনো কিছু করা অকল্পনীয়।
সৌদি কফিল বা নিয়োগকর্তা কাফালা পদ্ধতি ব্যবহার করে আইনের মারপ্যাচে প্রবাসীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে থাকেন। এই পদ্ধতি বাতিল হলে প্রবাসীরা তাদের কর্মজীবনে অনেকটা স্বাধীন হবেন এবং ইচ্ছামতো দিনাতিপাত করতে পারবেন।
যদিও কাফিল ব্যবস্থায় মানবাধিকার সুরক্ষার পাশাপাশি উভয়পক্ষের আচরণগত এবং আর্থিক অধিকারকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন পরিবর্তন হয়েছিল। তবে, বেশ কয়েক সংখ্যক নিয়োগকর্তা সিস্টেমের অনেক বিধানের অপব্যবহার করেছিলেন, যার ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই সিস্টেমটি বিলুপ্ত করার আহ্বান জানিয়েছিল।
অন্যদিকে, কাফালা বাতিল হলে প্রবাসী শ্রমিকদের প্রতিযোগিতামূলক কাজ করার অনেক সুবিধা নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে সৌদি শ্রমবাজারে। আরেকটি সুবিধা হলো বিভিন্ন দেশ থেকে অত্যন্ত দক্ষ এবং বিশেষায়িত প্রবাসীদের আকর্ষণ করা, পাশাপাশি প্রতিভাবান কর্মীদের জন্য কাজের পরিবেশ উন্নত করা হবে।