Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

bangladesh-youngবৃষ্টির কারণে লক্ষ্যটা জটিল হয়েছিল বটে, করতে হতো ওভারপ্রতি প্রায় ৬ রান করে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে যা মোটেও সহজ কর্ম নয়। কিন্তু বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মনে ছিলো ভিন্ন চিন্তা। তাই তো তারা রান করলো ওভারপ্রতি প্রায় ১২ করে, ম্যাচ জিতে নিলো ১২ ওভারের আগেই।

যুব বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচে বৃষ্টির কারণে জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারানোর জন্য ২২ ওভারে বাংলাদেশের যুব দলের সামনে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ১৩০ রান। বৃষ্টি নামার আগে ২৮.১ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৩৭ রানেই জিম্বাবুয়ের ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ।

chardike-ad

বোলিংয়ের মতো দুর্দান্ত প্রদর্শনী মেলে ব্যাটিংয়েও। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১১.২ ওভারেই (৬৮ বল) জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশের যুবারা। করেছে বিশ্বকাপের উড়ন্ত সূচনা। বিশ্বকাপে টাইগার যুবাদের পরবর্তী ম্যাচ ২১ জানুয়ারি, প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ডের যুব দল।

২২ ওভারে ১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুর ঝড়টা বইয়ে দেন তামিম। মাত্র ১০ বলে ৩টি করে ছয় ও চার হাঁকিয়ে ৩২ রান করে আউট হন তিনি। দলীয় সংগ্রহ তখন ৩ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৪১ রান।

এরপর তিন নম্বরে নামা মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৯১ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। মাত্র ৩১ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ের মারে নিজের ফিফটি তুলে নেন ইমন। শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩৩ বলে ৫৮ রান করে।

ইনিংসের ১২তম ওভারে জোড়া চার মেরে ম্যাচ শেষ করেন মাহমুদুল জয়। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ চারের মারে ২৬ বলে ৩৮ রানের ইনিংস। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ঝড়ো ফিফটি করা ইমন।

এর আগে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছলেন টাইগার যুবা দলের অধিনায়ক আকবর আলি। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করে শুরু থেকে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের সামনে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে থাকেন তানজিম হাসান সাকিব, শরীফুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নিপুনরা।

তবে সমান তালে লড়াই করেন জিম্বাবুয়ের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান ওয়েসলে মাধাবরে, এমানুয়েল বাওয়া এবং মিলটন শুমবা। ইনিংসের প্রথম ১২ ওভারে ৬৮ রান করে ফেলে জিম্বাবুয়ে। তবে মাধাবরে ১৯ বলে ১৮ ও বাওয়া ৩৫ বলে ২৭ রান করে ফিরে গেলে স্লথ হয়ে আসে রানের চাকা।

পরের ব্যাটসম্যানরা সে অর্থে তেমনকিছু করতে পারেননি। যার ফলে বৃষ্টি নামার আগে ২৮.১ ওভার খেলে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৪.৮৬ রানরেটে ১৩৭ রানের বেশি করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। শুমবা ৩২ বলে ২৮ ও পাঁচ নম্বরে নামা তাদিওয়ানাশে মুরুমানি ৩৩ বলে ৩১ রান করেন।

২৯তম ওভারে বৃষ্টি নামলে আর ব্যাটিং করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশকে দেয়া হয় ২২ ওভারে ১৩০ রানের লক্ষ্য। বল হাতে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন পাঁচ বোলার তানজিম হাসান সাকিব, শরীফুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নিপুন, শামীম হোসেন ও রাকিবুল ইসলাম।