চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত মুসলমানরা শত শত বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে। বিশেষ করে মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়। বসবাসের পাশাপাশি আবার দীর্ঘদিন ধরেও চীনের কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী সরকার উইঘুর মুসলিমদের উপর চালাচ্ছে অবর্ণনীয় অত্যাচার নির্যাতন।
১০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিমকে আটক রেখেছে বন্দী শিবিরে। জোর করে মুসলিম নারীদের গর্ভপাত করাচ্ছে, বন্ধ্যা করে দিচ্ছে মুসলিম নারীদের। জোরপূর্ব মুসলিম নারীদেরকে চীনাদের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে অহরহ। এবার তারা উইঘুর মুসলিমদের একটি মসজিদ বোলডেজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে।
সাম্রাজ্যবাদী মুসলিমবিদ্বেষী চীনের জিংজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত উইঘুর মুসলিমদের ওপর দেশটির সরকারের নীরব নির্যাতন, অভিযান, ধর্মীয় নিপীড়ন করার অসংখ্য সংবাদ বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদপত্রের শিরোনাম হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সম্প্রতি জিংজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের একটি মসজিদ গুড়িয়ে দেয়ার খবরটি প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী আরবি গণমাধ্যম আল-উম্মাহ। আল-উম্মাহর প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘উইঘুর অধ্যুষিত পূর্ব তুর্কিস্তানের (জিংজিয়াং) একটি মসজিদ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে চীনের বর্বর সেনাবাহিনী। গুড়িয়ে দেয়া মসজিদের একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমটি। যাতে দেখা যায়, মসজিদের দেয়ালসহ মূল স্থাপনার একটি অংশ ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। উইঘুর মুসলিম নির্যাতন ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী চীন সরকারের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক উইঘুর মুসলিমকে বন্দী শিবিরে আটকে রাখার বিষয়টি জাতিসংঘেও উঠেছে।
অগাস্ট ২০১৯-এ জাতিসংঘের একটি কমিটি জানতে পারে যে, ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলের কয়েকটি বন্দী শিবিরে আটক রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। চীন সরকারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও উইঘুর মুসলিমদের উপর চালানো অত্যাচার ও নিপীড়ন তথ্যপ্রমাণসহ দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
তবে এর আগে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিমকে বন্দী শিবিরে আটক রেখে তাদের দ্বীন ইসলাম পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বলপূর্বক তাদের নাস্তিক কমিউনিস্ট পার্টির মতাদর্শে বিশ্বাস স্থাপন করানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে নিজ ধর্মের সমালোচনা করতে তাদের ওপর বলপ্রয়োগ করা হচ্ছে।