Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

airportঅভিবাসন ব্যয় কমাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) চিঠি দিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। গত ৩১ ডিসেম্বর তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোকাব্বির হোসেনের কাছে এই চিঠি পাঠান বলে জানা গেছে।

চিঠিতে মন্ত্রী বলেন, বিদেশগামী কর্মীদের বিমান ভাড়া কমানো হলে অভিবাসন ব্যয়ও অনেকটা কমে যাবে। সেই লক্ষ্যে স্মার্ট কার্ডধারী বিদেশগামীদের জন্য আন্তর্জাতিক রুটে বিশেষ ছাড়ে ভাড়া নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।

chardike-ad

প্রস্তাবটি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনার জন্য প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ তার চিঠিতে উল্লেখ করে বলেন, এতে একদিকে বিদেশগামীদের যেমন ব্যয় কমবে, তেমনি বৈদেশিক কর্মসংস্থানকে আরও উৎসাহিত করবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বৈদেশিক কর্মসংস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। মন্ত্রণালয়ের নিরবচ্ছিন্ন উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার ফলে প্রতিবছর সাত লাখ মানুষ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিদেশ গমন করছেন। এর বিপরীতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬.৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রবাহ অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে রেমিট্যান্স আয় ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি এই মূল্যবান রেমিট্যান্স উপার্জনকারী কর্মীদের সাশ্রয়ী ব্যয়ে বিদেশ গমনসহ তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে যেসব কর্মী কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশ যান, তাদের প্রায় সবাই অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল।

অভিবাসনের জন্য একজন বিদেশগামী কর্মীকে যে ব্যয় বহন করতে হয় তার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিমান ভাড়া। সম্প্রতি বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বৈধভাবে বিদেশগামী অসচ্ছল কর্মীদের বিমান ভাড়ায়, বিশেষ করে গন্তব্য দেশে যাওয়ার পথে বিশেষ ছাড় দেয়া হলে একদিকে যেমন একজন কর্মীর অভিবাসন ব্যয় লাঘব করবে, অন্যদিকে তা সামগ্রিকভাবে বৈদেশিক কর্মসংস্থানকে উৎসাহিত করবে।

আগে বাংলাদেশ বিমানে লেবার ফেয়ার বা শ্রমিকদের জন্য হ্রাসকৃত ভাড়া প্রচলিত ছিল। আর বিমানের নিয়মিত যাত্রীদের বড় একটি অংশ এদেশের অভিবাসী কর্মীরা।