নিজেদের মধ্যে কাগুজে মুদ্রার পরিবর্তে স্বর্ণ ও পণ্যের বিনিময়ে বেচাকেনা শুরুর চিন্তা-ভাবনা করছে ইরান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া ও কাতার। মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের নিয়মিত আরোপ করা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ করতেই এমন পদক্ষেপের চিন্তা চলছে বলে জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মুহাম্মদ।
সম্প্রতি কুয়ালালামপুর সম্মেলনের শেষ দিনে মাহাথির বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার মুখেও ইরান ও কাতারের অর্থনৈতিকভাবে টিকে থাকার প্রশংসা করে বলেন, ‘যেভাবে কোনো দেশ একক সিদ্ধান্তে অন্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত আরোপ করে চলছে, তাতে আমাদের মাথায় রাখতে হবে মালয়েশিয়াসহ অন্য যে কারো ওপরই যে কোনো সময় এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রস্তাব রেখেছি স্বর্ণমুদ্রা এবং পণ্যের বিনিময়ে ব্যবসার ধারণাটিকে আমরা নতুনভাবে নিজেদের মধ্যে ভেবে দেখতে পারি। আমরা খুবই গুরুত্বের সাথে এটি বিবেচনা করছি এবং আশা করি এটি কার্যকরের কোনো উপায় আমরা বের করতে পারবো।’
নির্যাতিত মুসলিম উম্মাহকে সহযোগিতায় একমত হয়েছেন মুসলিম নেতারা। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে চার দিনব্যাপী কুয়ালালামপুর সামিটে গোলটেবিল বৈঠক ও সেমিনারে উঠে আসে নির্যাতিতদের কথা। পাঁচটি দেশের নেতা, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ এবং বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে প্রায় ৪৫০ জন প্রতিনিধি চার দিনব্যাপী এই সম্মেলনে অংশ নেন।
সম্মেলনে এসেছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগান, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তারা সবাই কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের মধ্যে থাকা ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। মুসলিম দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিত্বকারী সৌদিভিত্তিক বৈশ্বিক সংস্থাকে হ্রাস করার জন্য সংগঠন ইসলামিক কনফারেন্সের (ওআইসি) সমালোচনার মধ্যে রয়েছে।