নবমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলটির সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। এ প্রস্তাব সমর্থন করেন সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য পীযূষ ভট্টাচার্য। পরে তা কাউন্সিলরদের কণ্ঠভোটে পাস হয়ে যায়। কাউন্সিল অধিবেশনে সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঐতিহাসিক সোওরায়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন হয়। উদ্বোধন করেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতি পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাচ্ছিলাম, আমাকে একটু ছুটি দেবেন। আপনাদের ভাবতে হবে আমার বয়স হয়ে গেছে। আমার বয়স এখন ৭৩। এবারও আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।… আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সে দায়দায়িত্ব যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি।’
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড-পরবর্তী পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের ওপর নির্যাতনের খড়গ নামলেও পরে দলটিকে সংগঠিত করার দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালে তার অনুপস্থিতিতেই সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে প্রথমবার নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। এরপর টানা দেশের সর্ববৃহৎ দলটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত সভাপতি হয়েছেন সাত জন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া এ দলের প্রধান হিসেবে সবচেয়ে বেশি মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীও তিনবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া, আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ দুইবার এবং এএইচএম কামারুজ্জামান ও আবদুল মালেক উকিল একবার করে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ’৭৫-পরবর্তী পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন।