ভারতে বিজেপি সরকারের সদ্যপ্রণীত বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গোটা দেশে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযানে বিভিন্ন স্থানে ধরপাকড় চলছে। বৈধ পরিচয়পত্র না থাকায় সোমবার মহরাষ্ট্র রাজ্যের পলঘার জেলা থেকে ১২ জন ‘বাংলাদেশি’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৯ জন নারী।
ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভির অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদবিরোধী সেলের কর্মকর্তারা চিরুনি ও তল্লাশি অভিযান চালিয়ে অবৈধ এসব ‘বাংলাদেশি’ গ্রেফতার করেরছে। কর্মকর্তারা বলছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোটা রাজ্যে সহিংসতা ও অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।
মহরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদবিরোধী সেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মানসিং পাতিল বলেন, গ্রেফতার ১২ বাংলাদেশির কাছে কোনো বৈধ কাগজ বা পরিচয়পত্র নেই। তারা ভারতের নাগরিক নয়। কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে দেশে ঢুকে বেআইনিভাবে বসবাস করছিল বইসার এলাকায়।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন সূত্রে তাদের সম্পর্কে এসব তথ্য জানতে পেরে পুলিশের সন্ত্রাসবাদবিরোধী শাখার সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। কেমন করে তারা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে দীর্ঘদিন থেকে দেশে বসবাস করছে তাদেরকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের একই জেলা পলঘর থেকে অনুপ্রবেশ ও অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে ৭ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। ভারতে সম্প্রতি বহুল বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পর এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে ১৯ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হলো। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়দের দাবি, অনেক বাংলাদেশি কাজের সূত্রে ভারতে যাওয়ার পর আর ফিরে যান না। তাই প্রায়ই মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। পলঘর এলাকায় কিছু বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করছে, তাদের কাছে কোনো কাগজপত্র নেই, এমন খবর পাওয়ার পর সম্প্রতি সেখানে জোরালো অভিযান শুরু হয়েছে।