বাঙালির জাতীয় জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি দিন “শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস” এবং “মহান বিজয় দিবস”। বরাবরের মতো এবারও বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, আবেগ এবং গর্বের সাথে সম্পৃক্ত এই দুটি দিনকে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করা হয়। কানসাই বাংলাদেশ সোসাইটি (কেবিএস) জাপান (NPO) এর পক্ষ থেকে ওসাকা শহরের ইকুনো কুমিন সেন্টারে ১৪ই ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটায় শুরু হওয়া আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য, শিক্ষা ও সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ এবং বিজয় দিবসের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন প্রবাসে বসবাসরত ছাত্র, শিক্ষক, ব্যাবসায়ী, চাকুরিজীবীসহ সকল স্তরের বাংলাদেশীগণ।
ফেরদৌসী আরজানা হকের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান -খুলনা ইউনিভার্সিটি, মাহমুদুর রহমান- গবেষক, কোবে ইউনিভার্সিটি, রাসেল চৌধুরী- বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ড. সাঈদুল ইসলাম- সহযোগী অধ্যাপক, ওসাকা ইউনিভার্সিটি, লামিউর রায়হান- গবেষক, কিয়োটো ইউনিভার্সিটি, মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়া- বিশিষ্ট সমাজসেবক এবং সাইদুর রহমান, কোবে।
বক্তাগণ ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন দেয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান সকল মুক্তিযোদ্ধা বিশেষত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং বর্তমান প্রজন্মের বুদ্ধিজীবীগণ সমাজের চালিকাশক্তি হিসেবে দেশ গঠনে মনোনিবেশ করবেন এমনটা প্রত্যাশা করেন সাথে সাথে নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের গর্ব মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস এবং করণীয় সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন। পবিত্র কোরান তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া আলোচনা সভার শুরুতেই সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় ও আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তৃতা প্রদান করেন সংগঠনটির সভাপতি মোঃ নিজাম উদ্দিন।
আলোচনা সভা শেষে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের ইতিহাস এবং সংস্কৃতির আলোকে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সবশেষে দেশাত্মবোধক গান, পুরস্কার বিতরণী এবং নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডঃ মোঃ আজাদুর রহমান, রফিক আজিজ, রাজু চৌধুরী, রাকিব আল হাসান, ডঃ আব্দুল আজীজ, আনোয়ারুল আজিম, আবুল কালাম আজাদ, ডাঃ হেলেনা, রহমত হিমেল, মিরাজ, তৌফিক প্রমুখ।