Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

runa-lailaউপমহাদেশের প্রখ্যাত গায়িকা রুনা লায়লার আজ ৬৭তম জন্মদিন। পাঁচ দশকের দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন দমাদম মাস্ত কালান্দার খ্যাত এই গুণী তারকা শিল্পী। কুড়িয়েছেন উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা।

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী। তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী।

chardike-ad

রুনা লায়লার যখন আড়াই বছর বয়স তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে।

গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন রুনা লায়লা। তার এবারের জন্মদিনটা অন্যরকম। কারণ ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমার একটি গানের সুরকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া আর জন্মদিনের আগে নিজের সুর-কণ্ঠে প্রকাশ পাওয়া ‘ফেরাতে পারিনি’ শিরোনামের নতুন গানের ভিডিও।

শনিবার প্রকাশিত হয়েছে ‘ফেরাতে পারিনি’ শিরোনামের গানটি। কবির বকুলের লেখা গানটির সংগীতায়োজন করেছেন রাজা কাশেফ। ভিডিও নির্মাণ করেছেন শাহরিয়ার পলক। মিউজিক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নিলয় আলমগীর এবং সালহা খানম নাদিয়াকে।

১৯৭৪ সালের শুরুতে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে গান গাওয়ার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা। গানের কথা ছিল ‘ও জীবন সাথী তুমি আমার’। এ গানে তার সঙ্গে কণ্ঠ দেন খন্দকার ফারুক আহমেদ। তবে পাকিস্তানের ‘যুগ্নু’ ছবিতে ছোটবেলায় রুনা লায়লা প্রথম প্লেব্যাক করেন। এরপর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অসংখ্য ছবিতে তিনি প্লেব্যাক করেছেন।

সঙ্গীতে আকাশছোঁয়া সাফল্য অর্জন করা শিল্পী রুনা লায়লা নাচেও বেশ পারদর্শী। চার বছর বুলবুল একাডেমি করাচিতে ভরতনাট্যম, কত্থক, কত্থকলি শিখেছিলেন এ তারকা। নন্দিত এই শিল্পী অভিনয় করেছেন ‘শিল্পী’ নামক চলচ্চিত্রেও। পেয়েছেন নানা পুরস্কার।

এসবের মধ্যে রয়েছে দেশ থেকে পাঁচবার জাতীয় চলিচ্চত্র পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। এছাড়া ভারত থেকে পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার। পাকিস্তান থেকে অর্জন করেছেন নিগার, ক্রিটিক্স, গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কারসহ জাতীয় সঙ্গীত পরিষদ স্বর্ণপদক।