পর্তুগালে একটি সময় ছিল যখন ধর্মপ্রাণ মুসলিম কমিউনিটি তাদের নামাজ আদায়ের নিদির্ষ্ট কোনো জায়গা পেতেন না! কিন্তু বিগত কয়েক দশকে পর্তুগালে মুসলিম কমিউনিটি এবং মসজিদের সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন সূত্রমতে বর্তমানে পর্তুগালে প্রায় ৬০ হাজারের বেশি বিভিন্ন দেশের মুসলিম বসবাস করছেন, যা ক্রমবর্ধমান।
বর্তমানে সমগ্র পর্তুগালে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৫৭টি মসজিদের তথ্য পাওয়া যায়। যার মধ্যে বাংলাদেশ কমিউনিটি কর্তৃক স্থাপিত পঞ্চম মসজিদটি সম্প্রতি সরকারিভাবে স্বীকৃত হয় লিসবনের অদূরে কাসকাইস শহরে। লিসবনে দুটি, ফোর্তোতে একটি এবং রিবেলেইরোতে একটি মসজিদের পরে সর্বশেষ কাসকাইসে এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ কমিউনিটি।
কাসকাইস লিসবন থেকে মাত্র প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরের আধুনিক একটি শহর। দু-দশক আগে সেখানে কোনো বাংলাদেশি লোকজন না থাকলেও বর্তমানে শহরটিতে প্রায় ৪০টির মতো পরিবার বসবাস করছেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকরিজীবীসহ প্রায় ৩০০ লোকের বসবাস। তাছাড়া ৫০টির মতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বাংলাদেশিদের তত্ত্বাবধানে এবং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে শহরটিতে।
তার ধারাবাহিকতায় গত দুই বছর আগে কাসকাইসে বাংলাদেশ কমিউনিটি এবং ব্যবসায়ীদের সন্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি জুমার নামাজ এবং পাশের খোলার মাঠে ঈদের জামাতও চালু রয়েছে মসজিদটিতে।
মসজিদটি সরকারিভাবে রেজিস্ট্রি করার উপলক্ষে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে এক বিশেষ দোয়া মাহফিল ও মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।
কাসকাইস ইসলামিক কমিউনিটির সভাপতি ফারুক আহমেদ, সহ-সভাপতি মাহমুদ আলী এবং সেক্রেটারি মেহেদি হাসানের সার্বিক পরিচালনায় দোয়া মাহফিল ও মধ্যাহ্নভোজের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাংলাদেশি ও বিদেশি মুসল্লিরা। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামি সেন্টার লিসবনের নেতৃবৃন্দ, লিসবনের বাংলাদেশ কমিউনিটির ব্যক্তিবর্গ এবং সাংবাদিকসহ আরও অনেকই।