বেশ কিছু দিন যাবতই ভারতীয় ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভবিষ্যত নিয়ে গুঞ্জন চলছে। তবে এবার ভারতীয় দলের প্রধান নির্বাচক স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিলেন ধোনির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ। বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের দল ঘোষণাকালে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন আমরা ‘সামনের দিকে এগোচ্ছি’ এবং তরুণদের সুযোগ দিচ্ছি।
সাবেক অধিনায়ক ও ওয়ানডে তারকা ধোনি গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর থেকে আর ভারতের হয়ে খেলছেন না যে কারণে অনেকেই ধারণা করছেন ৩৮ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার খুব শিগগিরই হয়তো অবসর নিতে যাচ্ছেন।
আগামী মাসের শুরুতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য বৃহস্পতিবার ঘোষিত ভারতীয় দলে রাখা হয়নি তাকে এবং অতি সম্প্রতি নিজ মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজেও ছিলেন না তিনি।
জাতীয় দল নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান এমএসকে প্রাসাদ এ দিন বলেন আমরা তরুণদের সুযোগ দিচ্ছি। যেমন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে আমরা ঋণভ পন্থকে বেছে নিচ্ছি।
ধোনির ভবিষ্যত প্রশ্নে এক প্রশ্নের জবাবে প্রাসাদ বলেন,‘ বিশ্বকাপের পর এটা আমাদের পরিষ্কার ভাবনা, আমরা কেবলমাত্র পন্থের দিকেই নজর দিচ্ছি। বিশ্বকাপের পর আমি বিষয়টি স্পষ্ট করেছি যে, আমরা সামনের দিকে এগোচ্ছি। আমরা তরুণদের সুযোগ দিচ্ছি এবং দেখছি তারা দলে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছেন।’
২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক ধোনি ৯০ ম্যাচে ৪৮৭৬ রান করে ২০১৪ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।
ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত ৩৫০ ম্যাচে সাড়ে দশ হাজারের বেশি রানের মালিক ধোনি দীর্ঘ দিন যাবতই ভারতীয় ওয়ানডে দলের প্রধান স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন।
ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই ভারতীয়দের নেতৃত্ব দেয়া ‘ক্যাপ্টেন কুল’ খ্যাত ধোনিকে দলের লড়াই করার মানসিকতার জন্য কৃতিত্ব দেয়া হয়ে থাকে।
অধিনায়ক বিরাট কোহলি, বোর্ডের নব নির্বাচিত সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এবং প্রাসাদ সকলেই বলেছেন, অবসরের সিদ্ধান্তটা একান্তই ধোনির ‘নিজস্ব সিদ্ধান্ত’।
প্রাসাদ বলেন, ‘সব কিছুই তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। ভবিষ্যতের জন্য আমরা ইতোমধ্যেই একটা রোডম্যাপ তৈরী করেছি এবং সেভাবেই আমরা দল নির্বাচন করছি।’
ভারতের ইতিহাসে ধোনি একমাত্র অধিনায়ক, যার হাত ধরে ভারত ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জয় করে।
সূত্র : বিবিসি/বাসস