সম্প্রতি চলচ্চিত্র ছেড়ে সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনায় নিমগ্ন থাকার ঘোষণা দেন আলোচিত অভিনেত্রী চিত্রনায়িকা হ্যাপী। ঘোষণা অনুযাযী কাজও করছেন তিনি। হ্যাপী এখন তাবলিগ জামাতে যাচ্ছেন। শনিবার তিনি তাবলিগে গিয়ে তার অভিজ্ঞতার কথা ফেসবুকে শেয়ার করেন। পাঠকদের জন্য তার ফেসবুক পোস্টটি তুলে ধরা হলো…
“আজকে প্রথমবার তাবলিগে গিয়েছিলাম মুফতি উসামা ইসলাম ভাই এর বাসায়। পরিবেশটাই আলাদা ছিল, যেখানে অনেক অনেক মানুষ যারা শুধু আল্লাহকে ভালোবেসে আল্লাহের পথে চলার সুবিধার্থে ইসলামের আলোচনায় শামিল হয় সেই সাথে সেখানে যারা ছিল সবার মন নিশ্চয় আল্লাহের নূরে আলোকিত। এমন একটি জায়গা হাজারো সুন্দর জায়গা থেকে অনেক বেশি সুন্দর ও পবিত্র কারণ সেখানে সবার ধ্যানে শুধু মহান আল্লাহ। সেখান থেকে আসতে ইচ্ছা করছিল না। মনে হচ্ছিল সারা রাত বসে কোরআনের ব্যাখ্যা আর হাদিস শুনি আর সবার সাথে আল্লাহকে প্রাণ ভরে ডাকি। উসামা ভাই চমৎকার বয়ান করেন যার কারণে কথাগুলো মনে নাড়া দিতে বাধ্য এবং তিনি অসম্ভব ভালো একজন মানুষ।
ইসলামের পথে চলার আশায় এমন একটি পরিবেশে যেতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আমাদের সবারই উচিত আল্লাহের কথা মেনে চলা ও তার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা, যে পারে সে পরকালের জান্নাতবাসী নিসন্ধেহে! সুবাহান আল্লাহ!
আমরা সবসময়ই পবিত্র আর সুন্দর থাকতে পারি শুধু চিন্তা-ভাবনা যদি আল্লাহকে খুশি করার উদ্দেশ্য থাকে। কি হবে পরনিন্দা, মিথ্যা, অন্যায়, হিংসা-অহংকার এর মধ্যে থেকে? তার বিপরীতে যদি নামাজ, রোজা, আখলাক, পরোপকারিতা, কোরআন পাঠ ও নবীদের দেখানো পথে চলি তাহলেই জীবন সুন্দর ইহকাল ও পরকাল উভয় সময়ের জন্য।”
প্রসংত, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর মিরপুর থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন হ্যাপী। রুবেলের বিরুদ্ধে ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক’ গড়ার অভিযোগ আনেন তিনি। এই মামলার কারণে গত বিশ্বকাপের আগে তিন দিন জেলেও থাকতে হয়েছে রুবেলকে। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি বিদেশে খেলতে যাওয়ার অনুমতি পান।
রুবেলের বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া ঠেকাতে হাই কোর্টে গিয়েছিলেন ‘কিছু আশা কিছু ভালবাসা’ চলচ্চিত্রের নায়িকা হ্যাপী। তবে আদালত তার সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি।
ওই মামলা নিয়ে মাসখানেক ধরে তুমুল আলোচনার পর ফেব্রুয়ারির শুরুতে হ্যাপি জানান, রুবেলকে তিনি ‘ক্ষমা করে’ দিয়েছেন। বিশ্বকাপে রুবেলের কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত এই উঠতি নায়িকা বলেছিলেন, তিনি নিজেও আর মামলা চালাতে ইচ্ছুক নন। পরে হ্যাপীর আইনজীবী কুমার দেবুল দে আমলা থেকে সরে যান।