পুরান ক্ষত কাটিয়ে উঠার আগেই নেপালে ফের আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ভূমিকম্প। একই সঙ্গে প্রবল ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। মঙ্গলবার ভূতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে মোট ৩১টি ভূমিকম্প হয়েছে।
আর এর প্রত্যেকটি ঘটেছে ‘রিং অফ ফায়ার’-এর গণ্ডির ভিতরে। প্রশান্ত মহাসাগরের অববাহিকায় প্রায় ৪০ হাজার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ঘোড়ার খুরের আকৃতির মতো বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে রিং অফ ফায়ার বলা হয়। কারণ এখানে রয়েছে একাধিক মহাসাগরীয় খাত, আগ্নেয় বৃত্ত ও আগ্নেয়গিরি। পৃথিবীর নব্বই শতাংশ ভূমিকম্প ঘটে রিং অফ ফায়ারের গণ্ডির ভিতরে।
গত ২৪ ঘণ্টায় রিখটার স্কেলের মাত্রা অনুযায়ী ইন্দোনেশিয়ায় ৫.৩ ও ৫.৬, ফিলিপাইনে ৫.৪, জাপানের আইয়ো জিমা দ্বীপে ৫.৩, পেরুতে ৬.১, পূর্ব আইল্যান্ডে ৫.০, কলম্বিয়ায় ৫.৪, চিলিতে ৫.৪, আফ্রিকার দক্ষিণাংশে ৫.৪, গ্রিসে ৪.৫, আজারবাইজানে ৪.০ মাত্রার কম্পন ধরা পড়েছে।
এছাড়া নেপালে ৭.৩, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে কম-বেশি ৭.১ থেকে ৭.২ ভূকম্পন ধরা পড়েছে।
ভূমিকম্পের আওতা থেকে রক্ষা পায়নি ভূটান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক লাগাতার ভূমিকম্পের ফলে পৃথিবীর ভূ-স্তরের টেকটনিক প্লেটগুলির অবস্থান ক্রমাগত বদলে যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তির সময় প্লেটগুলির অবস্থানে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে। এই সময় রিং অফ ফায়ার অঞ্চলের বাসিন্দাদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতাত্ত্বিকরা।
সৌজন্যেঃ অর্থসূচক
