Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অনলাইন প্রতিবেদক, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩:

কোরিয়াতে বাংলাদেশী ইপিএস কর্মীর সংখ্যা প্রায় সাত-আট হাজার। এদের অনেকেই বাংলাদেশ থেকে মাস্টার্স কিংবা গ্রাজুয়েশন করেও করে ইপিএস ভিসায় কোরিয়া এসেছেন স্বনির্ভর হওয়ার জন্য। কমবেশি সবারই মাসিক আয় ১ লাখ টাকার উপরে। ইপিএস ভিসার মেয়াদ শেষে সবাইকেই ফিরে যেতে হবে স্বদেশে। কিন্তু দেশে গিয়ে কি করবেন ইপিএস কর্মীরা। এমন প্রশ্নের উত্তর মিলেছে গতকাল ইপিএস বাংলা আয়োজিত ভবিষ্যত উদ্যোক্তা হওয়ার ভবিষ্যত পরিকল্পনার একটি আলোচনা সভার অনুষ্ঠানে। ‘ইপিএস বাংলা’ ফেসবুক গ্রুপে যোগাযোগের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী এইসব তরুণদের প্রাথমিক আলোচনা পর্বের আহবান করে। ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজনে ইপিএস কর্মীদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী এবং ছাত্ররাও উপস্থিত ছিলেন।

chardike-ad

15985_593161514059455_1648170207_n

অনুষ্ঠানে কোরিয়ায় সফল ব্যবসায়ীদের কয়েকজন শুনালেন তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা। ব্যবসার শুরু করে থেকে তাদের আজকের অবস্থান পর্যন্ত ব্যখ্যা করেছেন। বলেছেন সহায়তার কথা। ইপিএস কর্মীদের যেকোন উদ্যোগে সব ধরণের সহায়তা দিবে ব্যবসায়ীরা।

অনুষ্ঠানে অথিতিদের মধ্যে আইটি ব্যবসায়ী এন এম ইসলাম গুরুত্ব দিলেন সততার উপর। তিনি বলেন ‘সততা এবং সাহস থাকলে সফল উদ্যোক্তা হওয়া কঠিন কিছু নয়।’।

কোরিয়ার আরেকজন সফল ব্যবসায়ী আবুবকর সিদ্দিক রানা ইপিএস কর্মীদের যৌথ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমে বড় খাতে বিনিয়োগ না করে ছোট পরিসর থেকে শুরু করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন ‘আপনারা যেসব খাতে নিজেরা দক্ষ সেসব খাতে বিনিয়োগ করলে ভাল করতে পারবেন। তবে উৎপাদনখাতে বিনিয়োগের পূর্বে রিয়েল এস্টেট খাতে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই করা দরকার। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে উৎপাদনমুখী খাতগুলোতে বিনিয়োগ করা যাবে’।

ব্যবসায়ী সুফিয়ান সিকদার নিজেদেরকে প্রথমে সংগঠিত হওয়ার উপর জোর দেন। সংগঠিত হতে পারলে অনেকদূর যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

অনুষ্টানে একটি কোম্পানী গঠন করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। তবে কোম্পানীটি কোন খাতে বিনিয়োগ করবে, কোম্পানীর ধরণ কেমন হবে এসব বিষয় চুড়ান্ত করার আগে আরো একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে বলে জানান উদ্যোক্তাদের একজন এলান খান চৌধুরী।

এই উদ্যোগের কারণ সম্পর্কে এলান খান চৌধুরী বলেন “আসলে একা কোন কিছু করা অনেক কঠিন। এইজন্যই চেয়েছিলাম কোরিয়ায় কর্মরত বন্ধুদের নিয়ে কিছু করার। অনুষ্টানে যারা এসেছেন তারা কিছু একটা করতে চান বলেই এসেছেন। আজকে যারা এসেছেন তাদের নিয়ে এবং আরো যারা আগ্রহী হবেন তাদেরকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চাই। আমরাও একদিন কোরিয়ার মত উন্নত হতে চাই। দেশে বিনিয়োগ করে আমরা নিজেদেরকে ভাল একটা অবস্থানে নেওয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখতে চাই”।

অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তা হওয়ার সপ্নে বিভোর কয়েকজন ভবিষ্যত উদ্যোক্তার সপ্নের কথা তুলে ধরা হল।

971849_573201609386250_1582120165_n
মির্জা সাইফুল, উইজংবু

“বাংলাদেশে গিয়ে একটি টেক্সটাইল কারখানা করতে চাই। আমি কোরিয়াতে টেক্সটাইল কারখানায় কাজ করেছি। এখানকার অভিজ্ঞতা দেশে গিয়ে কাজে লাগাতে চাই। যেহেতু আমার একার পক্ষে এত টাকা বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়, সেজন্য চাইছি দলগতভাবে করার। ১০ জনের মত হলে সবচেয়ে ভাল হয়”।

 

                                                                        সজিব কুন্ডু, ইনছন
579043_656603001016862_2096912324_n
“প্লাস্টিক খাতে বাংলাদেশে কম পুজিঁতে ভাল ব্যবসা করা সম্ভব। দেশে গিয়ে এই সেক্টরে কাজ করতে চাই। কোরিয়াতে সব ধরণের প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করে বারবার ব্যবহৃত হচ্ছে। আমাদের দেশেও এই রকম কিছু হওয়া উচিত। আমরা যারা কোরিয়া থেকে এই ধরণের খাতে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে যাব তারাই সহজে দেশে এই অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগাতে পারি”।

 

 

 

984286_4307027094018_1506310376_nফারুক আহমেদ, সুওন

“আমার কাছে মনে হয়েছে দেশে গিয়ে কিছু একটা করতে হবে। সেজন্যই আজকের অনুষ্টানে আসা। এখানে সবাই নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানালেন। আমি এতদিন ব্যবসা নিয়ে কিছু ভাবিনি। এখন মনে হচ্ছে ভাবতে হবে। ইপিএস বাংলা যদি যৌথ কোন উদ্যোগ নেয় আমিও সাথে থাকব”।